অসম্ভব গরমে বিয়ার। বেশ লোভনীয়! না, শুধু মানুষের জন্য নয়, বোলতাদের জন্যও বটে। তবে সাবধান! বিয়ার খেলে বোলতারা কিন্তু নিজেদের কন্ট্রোলে থাকে না। মাতাল হয়ে যায়। আর মাতাল হয়ে তারা কী করতে পারে, তা নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইংল্যান্ডের বিখ্যাত সংবাদপত্র ডেইলি মেল।
সংবাদপত্রটি জানাচ্ছে, ব্রিটেনের বিয়ার গার্ডেনগুলি এখন মাতাল ও খিটখিটে বোলতাদের আক্রমণে বেসামাল। তাদের হুলের দাপটে তছনছ হয়ে যাচ্ছে বিয়ার পাবগুলি। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গরমে পাবগুলিতে মৌজ করতে আসা অনেকেই বোলতার হুলে আক্রান্ত।
এমন ঘটার কারণ কি? যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, বোলতা বা মৌমাছি মদ খায়। আর তা খেয়ে মাতালও হয়। বাংলায় এমন অনেক পশু রয়েছে, আমরা যাদের মহুয়া খেয়ে টালমাটাল হতে দেখেছি। কিন্তু বোলতার ব্যাপারটা অন্যরকম। বোলতা বিয়ার বা মদ খেলে রেগে যায়। আর রেগে গিয়ে অন্য প্রাণীদের আক্রমণ করে বসে। বিশেষ করে তাদের নিশানায় থাকে মানুষ।
তাই সাবধান। প্রকৃতির কোলে গিয়ে বোলতার সাথে বসতে পারেন, গল্প করতে পারেন কিন্তু ভুলেও পানপাত্র সমেত নয়।
এর পিছনে অবশ্য বিজ্ঞানের একটি দিক রয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, রাণী বোলতা লার্ভা উৎপাদন বন্ধ করে দিলে শ্রমিক বোলতারা বেশি চিনিযুক্ত তরল গ্রহণ করার সুযোগ পায় না। সেই সময়ে চিনি যুক্ত তরলের সন্ধানে ফেলে দেওয়া ফলের দিকে উড়ে যায় তারা। আর যদি বিয়ার কিংবা মদ সামনে দেখে, তা হলে তো কথাই নেই। সেই পানীয়তে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।
আর এক ফোঁটা অ্যালকোহল বোলতাকে মাতাল ও খিটখিটে করে তোলে। সেই সময়েই তাদের নিশানায় পড়ে যায় বিয়ার পাবে মোস্তি করতে আসা মানুষজন।
মাতাল ও যুদ্ধবাজ বোলতাদের এমন আচরণ অবশ্য বেশিদিন স্থায়ী হয় না। একবার আবহাওয়া ঠান্ডা হয়ে গেলে, রানী ফের লার্ভা উৎপাদন শুরু করে দেয়। ফলে শ্রমিক বোলতারা চিনিযুক্ত তরলও পেয়ে যায়। স্বাভাবিক হয়ে যায় পরিস্থিতি।
বোলতাদের এমন আচরণ দেখে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন, আপনার বাড়ির পচা ফলমূল যত্রতত্র ফেলবেন না। সেগুলি জমা করুন একটি র্নিদিষ্ট জায়গায়। আর তা যেন বাচ্চাদের খেলাধূলার জায়গা থেকে অনেকটা দূরে থাকে।
তথ্যসূত্র- বিবিসি, ডেইলি মেল