প্রেমপত্র নয়, নেহাতই অফিসের একটা ‘ছুটির চিঠি’। আর সেই চিঠি নিয়েই এখন হইচই নেটদুনিয়ায়। অতি সহজ সরল ভাবে লেখা সেই চিঠিই এখন মন জিতে নিয়েছে নেটনাগরিকদের।

একজন কর্মী তার বসের কাছে একটি লিভ অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে বলেছেন, ‘অন্য অফিসে ইন্টারভিউ দেবো, তাই আমার ছুটি চাই’।
আমরা তো কত কাজেই ছুটি নিয়ে থাকি। অফিসে সেই ছুটির কারণকে বিশ্বাসযোগ্য করে তোলার চেষ্টাও করেন সবাই। কিন্তু অন্যত্র চাকরি খোঁজার জন্য ছুটি! না, এমনটা শোনা যায় না কখনও। হয়তো সে জন্যেই নেটনাগরিকদের মন জিতে নিয়েছেন ওই কর্মী। কেউ ভাবছেন, আরে! এত সরল মানুষটা!
আবার মনে জিলিপির প্যাচ যাদের তারা ভাবছেন, এটা আবার বসকে চাপে ফেলার কোনও কৌশল না তো!
সে যা-ই হোক, সব মিলিয়ে ব্যাপারটা হিট।

সেই কবে বিশ্বকাপ ফুটবলের ময়দানে রেফারির নজর এড়িয়ে হাত দিয়ে গোল করে ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনা বলেছিলেন, ‘হ্যান্ড অব গড’। সে ঘটনা মিথ হয়ে গেছে। সততার সঙ্গে পলিটিক্যাল কারেক্টনেসের সংঘাত চিরকালীন। আজকের জীবনের ময়দানেও এরকম সংঘাত কখনও কখনও আলোড়ন সৃষ্টি করে বই কি! বিশেষত, ‘সততা’ শব্দটি যখন সমাজে হয়ে উঠেছে বোকামির নামান্তর।
কিন্তু কোম্পানির বস্-কে ইমেল করে ওই কর্মীর ছুটির আবেদন মানুষের মনে সাড়া ফেলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ই-মেলের ছবি দিয়ে শেয়ার করেছেন সাহিল নামে এক ব্যাক্তি। ছুটি-আবেদনকারীরকে সহজ সরল ভেবে টুইটারে বয়ে গেছে উচ্ছ্বসিত প্রশংসার ঝড়। অসংখ্য রি-ট্যুইট আর
‘লাইক’ – এর বন্যা।

অফিস-কাছারিতে প্রকৃত কারণ গোপন রেখে ছুটি চাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে বিস্তর। কিন্তু এই ব্যক্তি সে সবের পরোয়া করেননি। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই, ছুটি চাওয়ার কারণ ব্যক্ত করেছেন। এরকম ক্ষেত্রে ছুটি না-মঞ্জুর হওয়া শুধু নয়, চাকরি খোয়ানোরও সমূহ সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
সেই আবেদন মঞ্জুর হয়েছে কিনা বা এই সততার পরিণতি কী হয়েছে তা-ও জানা যায়নি।

তবে পরিণতি যা-ই হোক, বিষয়টা যে ব্যাতিক্রমী, সন্দেহ নেই।