অরিতা ভৌমিক
রামায়ণ তো শুধু একটা মহাকাব্য নয়, একটা বহতা পরম্পরা। এর বিস্তার শুধু ভারতীয় ভূখণ্ড জুড়ে নয়। কিংবা একটি নির্দিষ্ট ধর্ম সম্প্রদায়কে ঘিরে নয়। গোটা দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়া জুড়ে নানা পরিবর্তন-পরিমার্জন, সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে রামায়ণের তিনশোর বেশি প্রকরণের হদিশ পাওয়া যায়। স্থান -কাল- পাত্রভেদে লেখক এবং কথকের মনোভূমিতে রামকথার নতুন নতুন ব্যাখ্যান আসতেই থাকে। তাই রামায়ণ আজও এমন একটা প্রাসঙ্গিক টেক্সট। রামকথা কতখানি ইতিহাসনিষ্ঠ তা প্রমাণের দায় লেখকের নেই। কিন্তু রামায়ণের লোকনিষ্ঠ পরম্পরাগত ইতিহাসকে আর একবার ফিরে দেখার প্রয়োজন নিশ্চয়ই আছে। উপেন্দ্রকিশোরের “ছোটদের রামায়ণ” থেকে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “খুদ্দুর যাত্রা” তো শুধু প্রকরণগত ফারাক নয় বরং দৃষ্টিভঙ্গির রদবদল। ঠিক সেই কারণেই বাল্মিকীর রাম আর কৃত্তিবাসের রাম এক নন। আবার কৃত্তিবাসের শ্রীরাম পাঁচালী আর চন্দ্রাবতীর রামায়ণও এক নয়।
মেয়েদের রামকথা চর্চার একটা ধারাবাহিক ইতিবৃত্ত রয়েছে। কিন্তু সেই ইতিহাস মূল স্রোতের রামায়ণ চর্চায় খানিকটা উপেক্ষিত থেকে গেছে। তাই বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস পড়ার দায় যাঁদের আছে— প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার অংশীদার হিসেবে একমাত্র তাঁরা ছাড়া চন্দ্রাবতীর লেখা রামায়ণের কথা অনেকেরই অজানা। গোটা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্য হাতড়ে কবি হিসেবে একমাত্র যে মেয়েটির নাম পাওয়া যায় সে হলো চন্দ্রাবতী। মনসামঙ্গল কাব্যের অন্যতম রচয়িতা দ্বিজ বংশীদাসের সুযোগ্য সন্তান চন্দ্রাবতী। মায়ের নাম সুলোচনা। বাবা মায়ের উৎসাহে চন্দ্রাবতী পুঁথিগত বিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন। দীনেশচন্দ্র সেন পাটোয়ারী গ্রামের পাঠশালায় তার পড়াশোনা শেখার কথাও জানিয়েছেন। মনে রাখতে হবে সময়টা সপ্তদশ শতক। মধ্যযুগের প্রায় শেষের দিককার পর্যায়। উপনিবেশের দৃষ্টিকোণ থেকে লেখা ইতিহাসে মধ্যযুগের পর্দানশীনতা এবং মেয়েদের নিরক্ষরতার বিষয়টি যতটা প্রত্যক্ষ ভাবে আমরা জেনেছি, তাতে যে বেশ কিছু ফাঁক রয়েছে চন্দ্রাবতী তার অন্যতম দৃষ্টান্ত।
দীনেশচন্দ্র সেন ময়মনসিংহ থেকে যেসব মৌখিক ছড়া কাহিনী ও গ্রাম্য গাঁথা সংগ্রহ করেছিলেন তার মধ্যে অন্যতম হলে চন্দ্রাবতীর রামায়ণ। এ রামায়ণ কতগুলো গানের সমষ্টি ময়মনসিংহের মেয়েরাই এই রামায়ণ গানকে বাঁচিয়ে রেখেছে বিভিন্ন পরম্পরা মধ্য দিয়ে। বিয়ের বাসর বরের অভিষেক এবং বিভিন্ন মঙ্গল উৎসবে রামায়ণ গান গাওয়ার রীতি প্রচলিত ছিল। মেয়েরাই এর গায়ক এবং শ্রোতা। এর রচয়িতা নিজেও মেয়ে। কাজেই নারীর অন্তরদ্বন্দ্বের বয়ান এতে ফুটে উঠেছে অত্যন্ত সাবলীল ভাবেই। চন্দ্রাবতীর রামায়ণের রচনাকাল মোটামুটি ভাবে কৃত্তিবাসের পর। কিন্তু শ্রীরাম পাঁচালী থেকে কথন ভঙ্গিমা একেবারেই আলাদা। চন্দ্রাবতীর রামায়ণ তিনটে পরিচ্ছেদে বিভক্ত। সম্ভবত পালাটি সংকলনের সময় এই পরিচ্ছেদ ভাব করা হয়। রাবণের লঙ্কার বৈভব প্রাচুর্য বর্ণনা দিয়ে কাহিনীর শুরু। এরপর আছে একে একে স্বর্গ মর্ত্য পাতাল জয়ের কাহিনী। সীতার জন্মের পূর্ব সূচনা অংশ থেকে গল্পের অভিমুখ কিন্তু পাল্টাচ্ছে। কাহিনীতে লোক উপাদান ঢুকে পড়ার প্রেক্ষিত নির্মিত হচ্ছে। অশোক বনে দেব কন্যাদের বাহুলগ্ন হয়ে থাকা রাবণের কথা অন্তঃপুর পর্যন্ত এসে পৌঁছতে সময় লাগছে না। অভিমানে বিষ খাচ্ছেন মন্দোদরী। সেই বিষের প্রভাবে দশ মাস দশ দিন পর একটি ডিম প্রসব করছেন। মায়ের মন ডিমটিকে নষ্ট করতে ইচ্ছুক নন একেবারেই। সোনার কৌটোয় ভরে সেদিন ফেলে আসা হচ্ছে জলে। মাধব জেলে আর আর সতা জেলেনীর গল্প একেবারেই লোক গাথা অনুসরণ করে। চিরদুখী জেলে জেলেনি একদিন মনসার বরে সেই সোনার কৌটোয় ভরা ডিম পাচ্ছে। তাদের অভাব ঘুচে যাচ্ছে। এই অংশটিতে জোকার ধান দূর্বা আমের পল্লব মঙ্গল ঘট সিঁদুরের ফোঁটা সবমিলিয়ে মেয়েলি ব্রত আচরণের সব চিহ্ন স্পষ্ট। রাম লক্ষণ শাখা আর গঙ্গাজল শাড়ি পড়া মাধব ধরণীকে দেখে তখন পড়শীদের চোখ টাটায়। এরই মধ্যে একদিন সতার স্বপ্নে একটি ফুটফুটে কন্যা দেখা দিয়ে গলা জড়িয়ে বলল রাজা জনক তার পিতা এবং রানী তার মা। সতা যেন তাকে রেখে আসেন জনক রাজার ঘরে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে সতা ডিমটিকে নিয়ে রানীর কাছে গেল। রানী বিনিময়ে তাকে গজমুক্তার হার মণিমানিক্য দিতে চাইলেও সতা একটিমাত্র আবেদন জানিয়ে গেল , “স্বপ্ন যদি সত্য হয় গো কন্যা জন্মে ইতে। / আমার নামেতে কন্যার নাম রাইখ্যো সীতে।।”
মিথিলানগরে সীতার জন্মের পর চন্দ্রাবতীর রামায়ণে এসেছে রামের জন্ম কথা। কিন্তু সীতার জন্ম কথায় যে নাটকীয় মোচড় চন্দ্রাবতী দিয়েছেন, সেটা অন্য রামায়ণে অনুপস্থিত। দ্বিতীয় পরিচ্ছদের নাম সীতার বারোমাসী। এই অংশটা চন্দ্রাবতীর রামায়ণের একটা মাস্টার স্ট্রোক বলা যায়। সীতার সম্বৎসরের সুখ-দুঃখের বর্ণনা দিতে গিয়ে চন্দ্রাবতী আর সীতা কোথাও এক হয়ে গেছেন। এবং এই একটি মাত্র পরিচ্ছেদে সীতার দৃষ্টিকোণ থেকে পুরো রামায়ণের কাহিনী নির্যাস বর্ণিত হয়েছে। যেহেতু রামকথার অনেকটাই তখনও বলা বাকি তাই এক্ষেত্রে গল্প বলা হয়েছে স্বপ্নদর্শনের হাত ধরে। চন্দ্রাবতীর রামায়ণের শেষ এবং তৃতীয় পরিচ্ছদের নাম সীতার বনবাসের পূর্ব সূচনা। লোকশ্রুতি অনুযায়ী, চন্দ্রাবতীর আজন্ম প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল জয়চন্দ্রের সঙ্গে। বিয়ের ঠিক আগেই জয়চন্দ্রের পদস্খলন চন্দ্রাবতীকে এতটাই ব্যথিত করেছিল যে তিনি আজীবন অবিবাহিত থেকে শিবের চরণে নিজেকে নিবেদন করেছিলেন। পুরনো প্রেমের জ্বালা ভুলতেই বাবা বংশী দাস মেয়েকে বলেছিলেন রামায়ণ লিখতে। অনুশোচনা দগ্ধ জয়চন্দ্র পরে ফিরে এলেও চন্দ্রাবতী তাকে আর গ্রহণ করেননি। জয়চন্দ্র এরপর আত্মঘাতী হন ফুলেশ্বরীর জলে। প্রেমিকের মৃতদেহ দেখে আত্মঘাতী হন চন্দ্রাবতীও। এই অকাল মৃত্যুর কারণে চন্দ্রাবতী রামায়ণ শেষ করে যেতে পারেননি। নইলে মধ্যযুগেই রামায়ণের একটা ভিন্নতর সম্ভাবনাময় পূর্ণাঙ্গ প্রকরণ আমরা পেয়ে যেতাম ।
চন্দ্রাবতীর পাশাপাশি রামায়ণ রচনায় আরেকজন কবির নাম উঠে আসে। তিনি হলেন মল্লা। একেবারে গঙ্গা অববাহিকা থেকে আমাদের মুখ ফেরাতে হয় দক্ষিণের দিকে। তেলুগুতে রামায়ণ রচনা করেছিলেন মল্লা। জীবনচর্যার দিক থেকে দু’জনের মধ্যে মিল ছিল বিস্তর। দু’জনেই প্রেমে প্রত্যাহত হওয়ার পর অবিবাহিত জীবন বেছে নেন। শিবের উপাসনা আর সৃজনশীলতার মাধ্যমে নিজেদের জীবনকে অন্য মাত্রা দিতে সচেষ্ট হন। আর্থসামাজিক অবস্থানগত প্রভেদ ছিল। চন্দ্রাবতী সমাদৃত ব্রাহ্মণ ঘরের সন্তান। আর মল্লা ছিলেন শূদ্র জনগোষ্ঠীর অন্তর্গত। তার বাবা ছিলেন কুমোর। একেবারেই প্রান্তিক নিম্নবর্গীয় অবস্থান থেকে একটি মেয়ের রামায়ণ রচনার স্পর্ধা সেকালের সমাজে ব্রাহ্মণ্য প্রথার বিরুদ্ধে একরকম বিদ্রোহই বলা যায়।মল্লার আর্থ-সামাজিক অবস্থান তাঁকে শেষপর্যন্ত কবি হিসেবে রাজস্বীকৃতি এনে দিতে পারেনি। কথিত, রাজসভায় স্বরচিত রামকথা পাঠ করতে চাইলে মল্লাকে ব্রাহ্মণ সমাজের তীব্র বাধার সম্মুখীন হতে হয়। আর চন্দ্রাবতীর রামায়ণ অসমাপ্ত হওয়ায় আদৌ এটির সাহিত্যমূল্য আছে কি না এ প্রশ্ন জিইয়ে রাখা হয়। এমনকি অসিতকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো প্রাজ্ঞ সাহিত্য ইতিহাসকার চন্দ্রাবতীর অস্তিত্ব সম্পর্কেই প্রশ্ন তোলেন।
ভারতের মৃত্তিকা কতখানি স্বর্গ হয়ে উঠেছে জানা নেই, তবে এদেশের নারীজাতির আদর্শ যে সীতা সাবিত্রী একথা এখনো হলফ করে বলা যায়। আবার এই সীতার মিথ কে ঘিরেই লোকজ পরম্পরায় মেয়েরা তাদের মনের সুখ দুঃখের কথা বর্ণনা করে আসছেন সেই কোন কাল থেকে। ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভিন্নতা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে এক আশ্চর্য মিল দেখা যায়। বাংলা ওড়িয়া মারাঠি তেলুগু মৈথিলী— এ সমস্ত ভাষায় রাম কথার যে অজস্র লোকায়ত প্রকরণ লক্ষ্য করা যায় তা একেবারেই ঘরের মেয়েদের মুখে মুখে তৈরি গান। এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্ম গলায় তুলে নেয় তা সহজেই। ওড়িয়ার সোহরি গানে যেমন মলিন বস্ত্র পরিহিত, রোজকার দিনযাপনের গ্লানি জর্জরিত , কেঁদে কেঁদে চোখ লাল করে ফেলা যে সীতার কথা আমরা পাই সে আর কেউ নয় প্রান্তিক সমাজের যে কোনও নারী। মেয়েদের রাম কথায় সীতা তার সুখ দুখ, রামের সান্নিধ্য পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা , গর্ভসঞ্চার আর প্রত্যাখ্যানের অপমানে বিদ্ধ এক সাধারণ মানবী। আসলে সীতাকে ঘিরেই নিজেদের জীবনকে লোকগানে এ ভাবে ব্যক্ত করেছেন ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মেয়েরা। তাই মৈথিলি বিয়ের গানে কান পাতলেও শোনা যায় সীতার একা একা গভীর বনের মাঝে সন্তান বিয়নোর দুঃখর কথা।
এ যুগের প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়েও রামকথার কথক যখন মেয়েরা, তখন বদলে গিয়েছে ডিকশন । ভলগা (Volga) লিখছেন লিবারেশন অফ সীতা (Liberation of Sita), যেখানে একজন আত্মমর্যাদা সম্পন্ন নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখানো হয়েছে গোটা ঘটনা পরম্পরাকে। আধুনিক পরিভাষায় সীতাকে একজন লড়াকু সিঙ্গেল মাদার বলাই যেতে পারে। ভলগার বইতে রাম রাবণের যুদ্ধের চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে , রেনুকা, অহল্যা, উর্মিলা, সুর্পণখা প্রমূখ নারীর গল্প এবং মনস্তত্ত্ব। আবার সমহিতা অর্ণির ” Sita’s Ramayana” নামক গ্রাফিক নভেলটিতে নারীবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে রামায়ণের গল্প উপস্থাপন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে মূল লক্ষ্য কিন্তু ছোট ছোট পাঠকরা। লিঙ্গভিত্তিক স্টিরিওটাইপ নির্মাণের ক্ষেত্রে মহাকাব্যের ভূমিকাকে একেবারে বদলে দেওয়ার প্রয়াস এই বই। বায়ু নাইডুর (Vayu Naidu) “Sita’s Ascent” বইটিও সীতা, রাম, লক্ষণ চরিত্রের দ্বিধাদ্বন্দ্বের পর্যায়ক্রমিক বিশ্লেষণ। রামের আরোপিত দেবত্বের কাছে সীতা পাত্তা পায় না বলেই এদেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সীতার সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলাটাই যেন দস্তুর। মল্লিকা সেনগুপ্তের “সীতায়ন” কেও কিন্তু চিরাচরিত রামকথার বিনির্মাণ ও পুননির্মাণ বলা যায়। আবার মাহি তালাত সিদ্দিকী উর্দুতে রামায়ণের যে ভাষান্তর করেছেন সেখানে মূল উদ্দেশ্য কিন্তু ধর্মীয় বিভেদকামিতার ঊর্ধ্বে উঠে রামায়ণের সাহিত্যিক মূল্যের প্রতি একনিষ্ঠতা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বার্তাটুকুকে ছড়িয়ে দেওয়া এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে কতটা প্রাসঙ্গিক এক সংবেদনশীল মানবী হৃদয় তা সহজেই উপলব্ধি করেছে। তাই যাবতীয় দ্বিধাদ্বন্দ্ব, কটাক্ষকে দূরে সরিয়ে রেখে মাত্র দেড় বছরে গোটা রামায়ণকে উর্দুতে অনুবাদ করেছেন মাহি। মাহির লেখা রামায়ণ মূলের অনুগত হলেও মেয়েদের রামায়ণ চর্চার ইতিহাসে এ এক অনবদ্য সংযোজন।
সব আয়োজন প্রায় সারা রাত পোহালেই অযোধ্যায় রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার মাহেন্দ্রক্ষণ। মাহেন্দ্রক্ষণ ভারতবর্ষের ইতিহাসেরও। ইতিহাস মানেই সময়ের সাথে সাথে পালাবদলের পালা। ইতিহাসও আসলে এক ধরনের নির্মাণ। এই নব নির্মাণের মুখে দাঁড়িয়ে বিনির্মাণের চিহ্নগুলোকে আমরা যদি সচেতন ভাবে সজাগ হয়ে মনে না রাখি তাহলে উত্তর প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে কিনা জানা নেই। জানা নেই মায়ের কোলে কাঁদতে থাকা ছোট্ট রাম লালা আর সীতা মাইদের কান্না আমাদের অন্তরে প্রবেশ করবে কিনা। শুধু একটা কথাই নিশ্চিত করে বলা যায়, রামকথার সাহিত্য মূল্য যুগে যুগে কালে কালে নির্মাণ -বিনির্মাণ -রূপান্তরের মধ্যে দিয়ে বেঁচে থাকবে। আর যতদিন মহাকাব্য হিসেবে রামায়ণ স্বীকৃত হবে— ততদিনই ধ্রুবতারার মতো জাগিয়ে রাখা যাবে কয়েকটা প্রশ্নকে।
অলংকরণ-রাতুল চন্দরায়