(আজ থেকে প্রায় বাহাত্তর বছর আগে একটি সভায় হাত তুলে ভোটাভুটি করে নাম ঠিক হয়েছিল অশোকনগরের। প্রতাপনগর নামটির প্রস্তাব হেরে গিয়েছিল সেদিন। সেই সভায় সবাইকে খাওয়ানো হয়েছিল সিঙাড়া। নাম ঠিক হবার পর বদলে যাচ্ছিল অশোকনগর এলাকার জীবন। গড়ে উঠল বাজার, বিভিন্ন ক্লাব, চালু হল বাস সার্ভিস। সেই সময়ে কেমন ছিল এখানকার বাসিন্দাদের জীবন, তা নিয়ে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন প্রয়াত সুতপেশ দাশ, তাঁর ‘অশোকনগরের কাহিনী’ বইটিতে। ১৯৯০ সালে প্রকাশিত বইটির ভূমিকা লিখেছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অতুল সুর। দীর্ঘদিন ধরে বাজারে-না-থাকা বইটি থেকে কিছু অংশ কয়েকটি পর্বে তুলে ধরছি আমরা। আজ দ্বিতীয় পর্ব)
এই অঞ্চলে সর্বপ্রথম যে উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়টি স্থাপিত হল, সেটি একটি বালিকা বিদ্যালয়। তখন এর নাম ছিল “হাবড়া আরবান কলোনী উচ্চ ইংরাজী বালিকা বিদ্যালয়”। ঠিক সেই সময়টায় এলেন বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী নলিনীমোহন কর। বালিকা বিদ্যালয়টির সম্পাদকের দায়িত্ব তাঁর ওপরই অর্পিত হল। সভাপতি হলেন হিরণ্য দাশগুপ্ত। কনস্ট্রাকশন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কয়েকটা নতুন তৈরী হওয়া খালি বাড়ী চেয়ে নেওয়া হল। স্কুল বসত সেই খালি বাড়ীগুলিতে। অন্যান্য শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন ননী করও।
এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অল্প কয়েক দিন পরেই এখানে আসেন বিশিষ্ট শিক্ষাব্রতী নিশিকান্ত সেন। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহণ করার অনুরোধ এল তাঁর কাছে। তিনি বুঝলেন এ দায়িত্ব শুধু প্রধান শিক্ষকের গতানুগতিক দায়িত্ব পালন নয়, এই শিশু প্রতিষ্ঠানটিকে তিলে তিলে গড়ে তুলতে হবে এবং তার জন্যে নিরলস প্রয়াস চালাতে হবে। তিনি দায়িত্ব নিলেন। অতঃপর স্কুলটির নতুন নাম হল বাণীপীঠ বালিকা বিদ্যালয় ।
এই সময় এ অঞ্চলের বাসিন্দারা স্থির করলেন জায়গাটার একটা ভাল নাম দিতে হবে। “হাবড়া আরবান কলোনী” নামটা কারও পছন্দ নয়। এ জায়গাটা তো আসলে হাবড়া নয়। হাবড়া এখান থেকে দুই, আড়াই মাইল দূরে। তাছাড়া “কলোনী” শব্দটাতে সবারই আপত্তি। বাসিন্দাদের তরফ থেকে নাম প্রস্তাবিত হ’ল দু’টি—‘অশোকনগর’ আর ‘প্রতাপনগর’। স্থির হল নাগরিক সংঘের আগামী বার্ষিক সাধারণ সভায় এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
সাধারণ সভা হয়েছিল কনস্ট্রাকশন বোর্ডের অফিস বিল্ডিং-এ, যেটাকে তখনকার দিনে বলা হত Dancing Hall, এখন সেখানে দুধের চিলিং প্ল্যান্ট হয়েছে। ১৯৫০ সালের ডিসেম্বরের শীতের অপরাহ্নে সেই সভায় লোক সমাগম মন্দ হয়নি। সংঘের তরফ থেকে সেদিন সব সদস্যকে সিঙ্গাড়া খাওয়ানো হয়েছিল। জনা চল্লিশ পঞ্চাশ লোক বোধ হয় হয়েছিল। নামকরণের সময় বেশ উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল; হাত তুলে ভোট নেওয়া হল। প্রতাপনগরের পক্ষে যত ভোট পড়ল, অশোকনগরের পক্ষে পড়ল তার চেয়ে কিছু বেশী ভোট। সেই শুভ লগ্নে এ জায়গার নতুন নামকরণ হয়ে গেল ‘অশোকনগর’। জায়গাটার নতুন নাম অশোকনগর হয়ে যাবার পর ‘বাণীপীঠ”বিদ্যালয়ের নাম হয়ে গেল “অশোকনগর বাণীপীঠ বালিকা বিদ্যালয়”।
শহরে যেমনই নতুন নতুন লোকের সমাগম হতে লাগল, তেমনি ধীরে ধীরে একটি একটি করে ক্লাব গড়ে উঠতে লাগল। তৈরী হল ‘ছাত্রসংঘ’, ‘অভ্যুদয় পাঠাগার’, ‘যুব সংঘ’, ‘ভাঙ্গাগড়া’, ‘বান্ধব সমিতি’ প্রভৃতি। প্রথম হাতে লেখা পত্রিকা ‘অভ্যুদয়’ প্রকাশিত হল অভ্যুদয় পাঠাগার থেকে। পরে অভ্যুদয় পাঠাগার মিলে গিয়েছিল যুব সংঘের সাথে।
এর কিছুদিন পরে যুব সংঘের এক অংশ বেরিয়ে গিয়ে নতুন এক সংগঠন তৈরী করলেন, “ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন’’। বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজ ও খেলাধুলোর ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান একসময় তার অবদান যুগিয়ে গেছে। যুব সংঘের ব্যায়ামের জন্য যে সংগঠন ছিল তার নাম ছিল “শক্তি সাধনা’। কালক্রমে যুব সংঘ প্রতিষ্ঠানটি আর রইল না। ‘শক্তিসাধনা’ই সমগ্র প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নিল। শহরের কলেবর যতই বৃদ্ধি পেতে লাগল, বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠতে লাগল নতুন নতুন সংগঠন, ক্লাব প্রভৃতি। এইভাবেই গড়ে উঠল ‘রক্তরবি সব পেয়েছির আসর’, ‘মিলন সংঘ,’ ‘সংস্কৃতি পরিষদ’, ‘পল্লী সংঘ’, ‘শান্তি সংঘ’, ‘মিলনী’, ‘এ. পি. এ.’, ‘অগ্রদূত’, ‘নেতাজী সংঘ’ এবং আরও অনেক সংগঠন। গড়ে উঠল এএসএ (অশোকনগর স্পোর্টস এসোসিয়েশন)। ‘‘হাবড়া আরবান কলোনীর”নীরস কাঠামো থেকে তখন ধীরে ধীরে জন্ম নিচ্ছে এক নতুন জনপদ – অশোকনগর।
তখনকার দিনে ক্লাবগুলো সংখ্যায় অনেক হলেও এদের কার্যকলাপ খুবে উল্লেখযোগ্য ছিল না। এ. এস. এ. গড়ে ওঠার আগে তো নিয়মিত খেলাধুলাই হতো না। যার যখন ইচ্ছে বল নিয়ে মাঠে নেমে পড়তো। তবে পুজা উৎসব টৎসবগুলো খুব উৎসাহ ভরে এরা করতো। দুর্গাপূজো হয়তো মুষ্টিমেয় কয়েকটা ক্লাব করতো। তবে সরস্বতী পূজা বোধ হয় প্রত্যেকটা ক্লাবই করতো। আসলে এই সরস্বতী পূজা করতে গিয়েই অনেক নতুন নতুন ক্লাব গজিয়ে উঠেছিল। তাছাড়া বর্ষাকালটা বাদ দিয়ে বৎসরের আর সব মরশুমেই এরা গান বাজনার জলসা, নাটক অভিনয় প্রভৃতির আয়োজন করতো। তারপর এ. এস. এ গঠিত হয়ে গেলে খেলাধূলোর ধুম পড়ে যায়। ফুটবল, ক্রিকেট, ভলিবল সব ক্ষেত্রেই ভাল ভাল খেলোয়াড় গড়ে উঠলো। এককালের খ্যাতনামা ফুটবলার সমরেশ চৌধুরী এই অশোকনগরেরই ছেলে।
দিন যায়। ক্রমে ক্রমে অশোকনগরের লোকসংখ্যা বাড়তে থাকে। উদ্বাস্তুরা ক্রমাগতই আসছেন। এসে গুছিয়ে বসছেন নতুন বাড়িতে সপরিবারে। সদস্য হচ্ছেন নাগরিক-সংঘের। এখানকার সুখ, দঃখ, হাসি-আনন্দ সবাই সমান ভাবে ভাগ করে নেন। প্রত্যেকের মনেই তখনও সদ্য ছেড়ে আসা পূর্বে-বাংলার ভিটেমাটির স্মৃতি স্পষ্ট জেগে আছে। ম্লান হয়ে যায়নি। অনেকেই দেশ ভিটে ছেড়ে এসেছেন সহজ স্বাভাবিকভাবেই। জমি বিক্রি করে টাকা পয়সা যে যা পেরেছেন গুছিয়ে নিয়ে এসেছেন। কেউ হয়তো আগে ভাগে ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে শেষমেশ প্রাণের দায়ে সবকিছুর আশা ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছেন ওদেশে গণ্ডগোল পাকিয়ে ওঠার সুরুতেই। তাঁদের ক্ষেত্রে অর্থনাশ এবং সম্পত্তিনাশই বড় ক্ষতি হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে। আর একদল আছেন যারা ওদেশের গণ্ডগোলের মধ্যে পড়ে পরিবারের কাউকে না কাউকে হারিয়ে, টাকা পয়সা ধন-সম্পত্তির মায়া ত্যাগ করে একবস্ত্রে এসে হাজির হয়েছেন এদেশে। দেশ বিভাগের দরুণ সবচেয়ে বড় মাশুল এদেরই দিতে হল। আত্মজনের বিয়োগ ব্যথার জ্বালা তখনও তাঁদের মনে ধিকি ধিকি জ্বলছে। আজ হয়তো সেই জ্বালা থিতিয়ে এসেছে। বেদনার বোধটা আর তত প্রবল নয়। এটাই নিয়ম। কালের মত এতবড় নিরাময় শক্তি বুঝি আর কিছুরই নেই ।
১৯৫১ সালের মার্চ মাস নাগাদ সবাই মিলে স্থির করলেন এই এলাকাতে একটা বাজার স্থাপন করতে হবে। কল্যাণগড় বা হাবড়া গিয়ে নিত্যদিন বাজার করা বড়ই কষ্টকর। এ কাজে অগ্রণী হলেন নাগরিক সংঘের কোষাধ্যক্ষ সুরেন তালুকদার মশাই। প্রচার করে দেওয়া হল আগামী ১লা বৈশাখ ১৩৫৮ তারিখে আর. ও. অফিসের নিকটে (বর্তমান বাণীপীঠ বিদ্যালয় ভবনের পিছন দিকটায় ) পাকা রাণওয়ের ওপর একটি বাজার স্থাপিত হবে। আগের দিন সেই জায়গায় সুরেনবাবু একটা কালীপূজার ব্যবস্থা করলেন। পরদিন যথারীতি তরিতরকারী, মাছ, মুদি মশলার জিনিষ, সিঙ্গাড়া, জিলিপি, তেলেভাজা প্রভৃতি পণ্য নিয়ে বিক্রেতারা একে একে এসে সেই জায়গায় বসতে শুরু করলেন। বেশ জমে উঠল বাজার। প্রতিদিনই যথেষ্ট লোক-সমাগম হলে লাগল। ছোট ছোট দোকান ঘর বসবার জন্যে যারা আবেদন জানাল, কনস্ট্রাকশন বোর্ড অফিস থেকে তাদের জন্য বাজারে প্লট মেপে দেওয়া হল। এর মধ্যে বসে গেল মুদি দোকান, মিষ্টির দোকান, টেলারিং সপ, ঔষধের ফার্মেসী, হেয়ার কাটিং সেলুন আর ষ্টেশনারী দোকান। পরবর্তী কালে এই বাজারই উঠে গেছে নবনির্মিত গোলবাজারে। এখন এই পরিত্যক্ত অঞ্চলকে লোকে বলে ‘পুরোনো বাজার’।
পুরোনো বাজার দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এখন মনে পড়ে যায় এককালে কি সরগরম ছিল জায়গাটা। আজ একেবারেই নির্জন নিস্তব্ধ। একসময় এখানে কনট্রাকশন বোর্ড থেকে একটা লম্বা গুদাম ঘর তৈরী করেছিল টিন, সিমেন্ট প্রভৃতি রাখার জন্যে। কালক্রমে কখন সে প্রয়োজন ফুরিয়েছে এবং কখন যে কিছু গৃহহীন পরিবার এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে তা বোধ হয় কারো স্মরণে নেই।
ইতিমধ্যে ৯৪ এবং ৯৫ নং এই দু’টি বাস চালু হয়ে গেছে এখানে । রাণওয়ে কাঁপিয়ে মাঝে মাঝেই বাসগুলো এমুখো ওমুখো ছাটে যাচ্ছে। ৯৪ নং বাসটা যাতায়াত করতো হাবড়া ষ্টেশন থেকে অশোকনগর পর্যন্ত শাটল বাস হিসাবে। এর রুট ছিল কল্যাণগড়, কয়াডাঙ্গা, ভাতশালা এসব স্থানের মধ্য দিয়ে। ফলে সব জায়গার লোকেরাই মোটামুটি এর সুবিধেটুকু ভোগ করতে পারত। ৯৫ নং বাস চলতো হাবড়া থেকে বারাসত— অশোকনগর হয়ে। কালক্রমে ৯৪ নং বাস উঠে গেল। একটা সুবিধেজনক ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত হল সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের অধিবাসীরা।
বাস চালু হবার সঙ্গে বাস স্টপেজগুলোর নতুন নতুন নামকরণ হল। কল্যাণগড় সতীশ ভদ্রের বাড়ীর সামনে বাস দাঁড়াতো বলে এর নাম হল ‘সতীশ ভদ্রের মোড়। পরে অবশ্য এটা ‘কল্যাণগড়’ স্টপেজ হয়ে গেছে। কচুয়া মোড়ের আগের স্টপেজটা এখনও ‘বিজয়া ফার্মেসী’ ‘বলে অভিহিত হয়। ওখানে এক সময় ডাঃ সেনগুপ্তের বিজয়া ফার্মেসী ছিল। আজ তার চিহ্নমাত্র নেই। কচুয়ার পরের স্টপেজ আজও ‘সুরকী রাস্তা’। এখানকার গলিপথটা তখন সুরকী ঢালা ছিল। এখন পীচের পাকা রাস্তা হয়ে গেছে। নামটা কিন্তু রয়ে গেছে। আর. ও. অফিসের সামনে এলেই কনডাকটর এখনও হাঁকে ‘‘রায় কেবিন”। এখনকার নেতাজী সুভাষ সংঘের ঠিক উল্টোদিকে ছিল নির্যাতিত রাজবন্দী হীরালাল রায়ের ‘রায় কেবিন’। লোকেরা এখানে বসে চা-বিস্কুট, কেক, খেত। ওটা কবে উঠে গেছে কারো মনে নেই। নামটা রয়ে গেছে।
চৌরঙ্গী নামটা কে কখন দিয়েছিল মনে নেই কারো। কখন থেকে এ নামটা চালু হয়েছে সে তথ্যও কালের গর্ভে লুপ্ত হয়ে গেছে। তবে নামটা খুবই মানানসই বলতে হবে। সেই চৌরঙ্গী আজ এ অঞ্চলের প্রধান বাস স্টপেজ। আরেকটি বাস ষ্টপেজের নাম বেশ কৌতুকাবহ। সেটি হচ্ছে অশোকনগরের একেবারে পশ্চিম প্রান্তদেশে যেখানে ৯৫ নং বাস একটা চক্কর খেয়ে ঘুরে আসে আবার চৌরঙ্গীর দিকে। এই স্টপেজটার নাম ‘নিউ মার্কেট’। মজার কথা হচ্ছে এখানে কোন মার্কেটই নেই। কনস্ট্রাকশন বোর্ডের ‘ব্লু প্রিন্টে’ এ অঞ্চলটা চিহ্নিত ছিল একটা মার্কেট তৈরীর জন্য। পরবর্তী কালে এই মার্কেট আর তৈরী হয়নি। কিন্তু, তখন থেকে যে নিউ মার্কেট নামটি চালু হয়েছিল, তা আজও বজায় আছে। আরেকটা বাস স্টপেজ ছিল ‘কাঁটাগাছ বাস স্টপেজ’। এখন যেটা শিববাড়ী বাস স্টপেজ সেটাকেই আগে বলা হত ‘কাঁটাগাছ’। কারণ নিকটেই একটা কাঁটাঝোপ ছিল। পরে শিববাড়ী স্থাপিত হলে এর নাম হয় ‘শিববাড়ী ষ্টপেজ’। দুটি ক্লাবের নামে রয়েছে দুটি বাস স্টপেজ। সে দু’টি হল ‘ভাঙাগড়া বাসস্টপ’ এবং ‘বান্ধব সমিতি’ বাসস্টপ। এ দুটো নাম সেই আদিকাল থেকে চলে আসছে। জনস্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জলের ট্যাঙ্কটা তৈরী হবার পর থেকে ওখানে একটা ষ্টপেজ হয় এবং সেই থেকে এটার নাম হয়ে গেছে ‘জলের ট্যাঙ্ক বাস স্টপ। বিশ্বকবি রোডে “তবলা মহল” নামে যে বাড়ীটিতে তবলা শেখানো হত, সে বাড়ীর সামনের বাস স্টপ হয়ে গেল ‘তবলা মহল’। এ নামটি এখনও আছে।