আকাশ থেকে খসে পড়ছে একেকটি পাখি। প্রবল দাবদাহে শুকিয়ে যাচ্ছে শরীরের সবকিছু। ওড়ার শক্তি র্পযন্ত থাকছে না। তারপর ক্লান্ত হয়ে কোনওটা নেমে আসছে মাটিতে। কোনও পাখির জীবন শেষ আকাশেই।
গুজরাতের আমেদাবাদের প্রবল গরমে (heat wave) এমনই সব ঘটনা ঘটছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন কয়েকজন পাখি উদ্ধারকারী ও পশু-পাখির চিকিৎসক। আমেদাবাদের ‘জীবদয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ পরিচালিত পশু হাসপাতালের ডাক্তারেরা জানিয়েছেন, গত গত কয়েক সপ্তাহে হাজার হাজার পাখির চিকিৎসা করেছেন তাঁরা। সেগুলি ক্লান্ত ও তৃষ্ণার্ত ছিল। অন্যান্য পাখিদের সঙ্গে প্রতিদিন কয়েক ডজন পায়রা এমনকি চিলকেও হাসপাতালে নিয়ে আসছেন উদ্ধারকারীরা।
জীবদয়া ট্রাস্টের সাথে ঘনিষ্ঠ ভাবে জুড়ে রয়েছেন মনোজ ভাবসার। পাখি উদ্ধারের কাজের সঙ্গেও যুক্ত তিনি। তাঁর কথায়, “সাম্প্রতিক কালের মধ্যে এই বছরটিতেই সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। আমরা দেখেছি, ক্লান্ত ও তৃষ্ণার্ত পাখির সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।”
গুজরাতের স্বাস্থ্য দফতর তাপ-সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসায় প্রস্তুত থাকতে হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে।