সেলিব্রিটিরাই শুধু নয়, আমাদের মধ্যেও অনেকে রয়েছেন যাঁরা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময়ে পোষ্যটিকে সঙ্গে নিয়ে যান। কেউ কেউ আবার সঙ্গে নেন নিজের প্রিয় কোনও জিনিসকে। 

কিন্তু প্রাতঃকৃত্য সারার জায়গাটি নিয়ে কেউ দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন— এমনটা স্বপ্নেও ভাবা যায় না!  তবে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জন উনের পক্ষে সবই সম্ভব।  তাঁকে নিয়ে এমন একটি অবাক করা খবর এ বার সামনে এসেছে। কয়েকটি সংবাদপত্রের দাবি, দেশবিদেশে ঘোরার সময়ে কিম নাকি নিজের টয়লেটটি সঙ্গে নিয়ে যান।

অনেকে বলেন, কিমের বিচিত্র চরিত্রকে ফুটিয়ে তুলতে পশ্চিমী দুনিয়ার সংবাদমাধ্যম নাকি আদাজল খেয়ে লেগেছে। আর তাতে রসদ দিয়ে চলেছে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদপত্রগুলি। খবরের কোনটা সত্যি কোনটা জল্পনা, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।  যেমন কিছু দিন আগে কিমকে নিয়ে অন্য একটি খবর ভাইরাল হয়েছিল। জানা গিয়েছিল, উত্তর কোরিয়ার শাসক তাঁর পিতার মৃত্যুকে সম্মান জানাতে দেশবাসীকে ১১ দিনের জন্য হাসতে নিষেধ করেছেন।  সেই সময়ে দেশে অনন্দ উৎসব বন্ধ। চলবে না মদ্যপানও। আর যদি কেউ তা অমান্য করেন, ঠাঁই হবে জেলখানায়। এ সব খবরে উত্তর কোরিয়ার অবশ্য হেলদোল নেই। কে কী বলল, কী যায় আসে— দেশের ভিতরে কেউ মুখ না তুললেই হল!

যাই হোক, কিমের বিচিত্র স্বভাব নিয়ে মজার খবরটি প্রকাশ করেছে ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’ ও দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ আউটলেট ‘দ্য চোসুনইলবো’। উত্তর কোরিয়ার গার্ড কমান্ডের এক প্রাক্তন কর্মচারী  ‘দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট’-কে জানিয়েছেন, প্রাতঃকৃত্য সারার জায়গাটি নিয়ে দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়ান কিম। 

কিন্তু কেন? এমন উদ্ভট খেয়ালের কারণ কী? 

মূল কারণ, কিমের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য। যদি তিনি অন্য কোনও টয়লেটে মূলমূত্র ত্যাগ করেন, তবে সে সব পরীক্ষা করে জানা যেতে পারে প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন। কিন্তু তা তো হতে দেওয়া যাবে না! সে জন্যই নিজস্ব টয়লেট সঙ্গে নিয়ে যাবার ব্যবস্থা!

‘দ্য চোসুনইলবো’ জানিয়েছে, কিমের টয়লেটটি বহনযোগ্য। আর সেটিকে পাহারা দিতে ২৪ ঘণ্টার পাহারাদার রয়েছে। এমন কী, পাহারাদারের দলটিতে রয়েছেন কয়েকজন ডুবুরিও। রিপোর্ট অনুসারে, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক তাঁর সমস্ত যানবাহনে টয়লেটটি নিয়ে যাবার ব্যবস্থা করেছেন। 

কিন্তু প্রশ্ন হল, কিমের মল থেকে কী এমন তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে? বলা হচ্ছে, এ থেকে তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ পেয়ে যেতে পারে। যদি জানা যায়, কিমের দেহে কোনও সমস্যা রয়েছে তবে তাঁর ভাবর্মূতি  ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এমনও রটতে পারে কিমের স্বাস্থ্য এতই খারাপ যে তিনি হয়তো বেশিদিন বাঁচবেন না। তাতে দেশে বিদ্রোহও দেখা দিতে পারে। কত কী-ই তো হতে পারে!

মানুষের মলের গুরুত্ব তো কম নয়!