(১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরি অবস্থা চলাকালীন জ্যোতির্ময় দত্ত সম্পাদিত ‘কলকাতা’ পত্রিকার বিশেষ রাজনীতি সংখ্যায় প্রকাশিত এই লেখাটির জন্যই জেলবন্দি হতে হয়েছিল বাংলার কিংবদন্তী সাংবাদিক-লেখক গৌরকিশোর ঘোষকে। ‘পিতার পত্র’ শিরোনামে এই চিঠিটি নিজের তের বছর বয়সী পুত্রকে লেখা। যা গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের বিরুদ্ধে এক চরম হুঁশিয়ারি। এই বছরটা ম্যাগসেসে পুরস্কার বিজয়ী গৌরকিশোর ঘোষের জন্ম শতবর্ষ।  তাঁর প্রতি রয়ে গিয়েছে বাংলা ভাষার আপামর পাঠকের শ্রদ্ধা।)

স্নেহাস্পদেষু,

অনেক দিন ধরেই ভাবছি তোমাকে কিছু কথা বলব আমার সম্বন্ধে। প্রায় দু’মাস হতে চলল আমি এক ব্যাধিতে ভুগছি। কিছুতেই নিরাময় হচ্ছে না। তোমাকে বলতে পেরে মনের ভার যদি লাঘব হয়, সেই ভরসা।

তোমার এখন যা বয়স, মাত্র তের, তাতে হয়তো এখনই আমার কথা সব বুঝতে পারবে না। তবু যে তোমাকে লিখছি, তার কারণ, আমার কেমন মনে হল, কথাগুলো তোমার শুনে রাখা দরকার।

এবার আমার ব্যাধির কথা বলি। বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে তোমার সঙ্গে যখন দেখা করতে যাই, তুমি আমার মাথা নেড়া দেখে ভীষণ অবাক হয়ে গিয়েছিলে। মনে পড়ে? তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলে, বাবা, তুমি মাথা মুড়িয়েছ কেন?  আমি তোমাকে বলেছিলাম, সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে আমার স্বাধীন ভাবে লেখার অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। এখন আমি যেমন চাই, তেমন কথা আর লিখে প্রকাশ করতে পারব না। সরকার যে-সব কথা শুনতে চাইবেন, শুধু সে-সব কথা লিখতে হবে। আমি তোমাকে বলেছিলাম, মনে পড়ে, সরকারের এই কাজকে আমি লেখকের অধিকারে অন্যায় হস্তক্ষেপ বলে মনে করি। আমি সেই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানাবার জন্যই মাথা মুড়িয়ে ফেলেছি। যতদিন আমি লেখক হিসেবে আমার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ফিরে না পাব, ততদিন মাথার চুল গজাতে দেব না।

এই কথার মানে তুমি যথার্থ সেদিন বুঝেছিলে কি না জানিনে, তবু তোমার মুখখানা, আমার চোখে এখনও ভাসে, কালো হয়ে গিয়েছিল। তারপর তোমার মা-কে কাছে পেয়ে গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জিজ্ঞেস করেছিলে, ‘‘ওরা কি বাবাকে কখনোই লিখতে দেবে না?’’

এই প্রশ্নের জবাবে তোমাকে আজ এইটুকুই বলা যায়, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দেশে যদি আবার প্রতিষ্ঠিত না হয়, তাহলে তোমার বাবা আর কোনোদিনই লেখার সুযোগ পাবে না।

অতএব বুঝতেই পারছ, আমার অধিকার কেড়ে নেওয়ায় আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, কারণ আমি এই অবস্থা মেনে নিতে পারিনে। শুধু যে মেনে নিতে অসম্মত তাই নয় আমি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ জানাতে চাই। কিন্তু যখনই প্রকাশ্য প্রতিবাদের কথা আমার মনে পড়ে, তখনই তোমার, তোমার দিদিদের, তোমার মার, ঠাকুমার মুখগুলো আমার চোখে ভাসে। তোমাদের কেউ নাবালক, কেউ অসহায়, কেউ বা বৃদ্ধ। সকলেই আমার উপর নির্ভরশীল। আমি এতদিন ধরে তোমাদের মোটামুটি একটা স্থিতিশীল সংসারের আশ্রয়ে রেখেছি। আমি কি আমার কোনও ‘সখের খেয়াল’ চরিতার্থ করার জন্য এমন কোনও কাজ করতে পারি যাতে তোমাদের এই আশ্রয়, এই স্থিতি ভেঙে পড়তে পারে? যদি তোমাদের আশ্রয় বজায় রাখাটাকেই আমার জীবনের ধ্রুব লক্ষ্য বলে স্বীকার করে নিই, তাহলে তোমাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অবশ্যই প্রতিবাদ করার প্রশ্নই ওঠে না। তাহলে এই অন্যায়টাকে মেনে নিতে হয়। অসত্যের সঙ্গে আপস করতে হয়।

তাহলে মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয় দেবার ইচ্ছা বিসর্জন দিতে হয়।

একদিকে তোমরা, তোমাদের নিরাপত্তা আর অন্যদিকে আমি, মানুষ হিসেবে আমার আত্মমর্যাদা। প্রশ্ন উঠেছে, কাকে বিপন্ন করে কারে রক্ষা করব? অহরহ এই প্রশ্ন আমাকে অস্থির করে দিচ্ছে, জর্জরিত করে তুলেছে। এই আমার ব্যাধি, যে ব্যাধির কথা তোমাকে শুরুতেই বলেছি।

অথচ, অদৃষ্টের কী পরিহাস দ্যাখো, আমাকে কিনা এখনি এমনধারা একটা বাছাই-এর প্রশ্নের সামনে এসে দাঁড়াতে হল, তা-ও কমিউনিস্ট শাসনে নয়, আমাদের গণতান্ত্রিক শাসনে, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী যখন রাষ্ট্রনায়ক তখন। কিন্তু এমন একটা প্রশ্নের সামনে যখন দাঁড়াতেই হচ্ছে, তখন আর উপায় কি, সিদ্ধান্ত একটা নিতেই হয়। প্রশ্নটি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনও অর্থই হয় না।

তাই আমার সিদ্ধান্ত তোমাকে জানিয়ে রাখছি। আমার বাক্ স্বাধীনতা হরণের আমি তীব্র প্রতিবাদ করি।

আমি মনে করি, আমার লেখার অধিকার, আমার মতপ্রকাশের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার অর্থ আমার অস্তিত্বকে হত্যা করা। এই কারণে আমি বর্তমান সেন্সর ব্যবস্থাকে মানবিক ন্যায়নীতি বিরোধী গণতন্ত্র বিরোধী এবং স্বাধীনতার পরিপন্থী বলে মনে করি।

বরাবর আমি মানবিক ন্যায় নীতির পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে এবং স্বাধীনতার পক্ষে সংগ্রাম করে এসেছি। তুমি যখন বড় হবে, তখন যদি সুযোগ পাও তো তোমার বাবার রচনাগুলো পড়ে দেখতে পার।

এই কারণেই নকশাল আন্দোলনের সেই উচ্ছৃঙ্খল দিনগুলোতেও আমার একক কণ্ঠস্বরকে সদাসক্রিয় রেখেছিলাম। বারবার সেই বিপথগামী তরুণদের বোঝাতে চেষ্টা করেছিলাম, হিংসা এবং হিংস্রতা মানুষের স্বাধীনতা আনে না। বড়জোর এক স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে তাকে আরেক স্বৈরাচারের শৃঙ্খলে নিয়ে আবদ্ধ করে। গণতন্ত্রই মানুষের স্বাধীনতাকে জীইয়ে রাখে। কেননা, গণতন্ত্রই একমাত্র ব্যবস্থা, যেখানে মতবিরোধকে সসম্মানে স্বীকার করে নেওয়া হয়।

সমাজ নিয়ে দীর্ঘকাল ধরে নানা পরীক্ষার পর জ্ঞানী মানুষেরা গণতান্ত্রিক মার্গটাকেই মোটামুটি সহ্য করে নিয়েছেন। কারণ এই ব্যবস্থাতেই নেতৃত্বের উত্থান-পতন নিয়মতান্ত্রিক পথেই ঘটে থাকে। হিংসা বা হিংস্রতার আশ্রয় নিতে হয় না। পরিবর্তন ঘটানোর অস্ত্র যুক্তিসঙ্গত বাগ্মীতা। গুলি বা ঘাতকের কুঠার নয়। এই কারণেই গণতন্ত্রের প্রতি আমার এত অকুন্ঠ ভালবাসা। যদিও গণতন্ত্রের ত্রুটিবিচ্যুতি সম্পর্কে আমি পূর্ণ সচেতন।

আমি পরিবর্তনের কথা বলেছি, নেতা বদলের কথা বলেছি। পরিবর্তনের জন্য ব্যাকুলতা মানুষের ধর্ম। তার মহৎ দুর্বলতাও বটে। মানুষ একদিকে গৃহস্থ, অন্যদিকে বিবাগী বৈরাগী। মানুষ ঘর বাঁধে, দায়িত্ব নেয় প্রয়োজনের জন্য। আবার সেই মানুষই ঘরের বাঁধন ছিঁড়ে পথে বেরিয়ে পড়ে এক দুর্নিবার আকর্ষণে। এই হচ্ছে মানুষের চরিত্র। দুটো বিপরীত ভাব দিয়ে তার স্বভাবটা তৈরি। নতুন করে গড়া আর গড়া জিনিস আবার ভাঙা। দুটো ক্রিয়াই মানুষের স্বভাবে বাসা বেঁধে আছে। কাজেই যে-মানুষ আজকে গড়ছে আগামীকাল সেই মানুষই তা ভাঙতে এগিয়ে যাচ্ছে। যে-মানুষের গতকালের কাজ ছিল ভাঙা, সেই মানুষই আজ আবার গড়তে এগিয়ে এসেছে। মানুষ কিছুতেই তার সৃষ্টিতে তৃপ্ত থাকতে পারে না। এই সদা অতৃপ্তিই মানুষের প্রগতির প্রেরণা। মানুষ যেমন অতৃপ্ত, তার সমাজও তেমনি অস্থির। কেননা, সমাজ মানুষের হাতেই গড়া। তাই মানুষের সমাজকে বুঝতে গেলে— মানুষকে বোঝা আগে দরকার। মানুষ স্বভাবতই পরিবর্তন-প্রিয়।

কাজেই পরিবর্তন প্রিয় মানুষের পরিবর্তনশীল সমাজে কোনও ব্যবস্থাই ধ্রুব নয়। এই সত্য আমাদের স্বীকার করে নেওয়াই ভাল। সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের যতগুলো উপায় আছে তার মধ্যে নিয়মতান্ত্রিক উপায়টিই আমার কাছে অধিকতর মানবিক এবং সেই কারণেই গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়। যে-উপায়ে রক্তপাত ঘটে, তার মধ্যে আখেরে কল্যাণ থাকতে পারে বলে আমার মন সায় দেয় না। আমি সেই কথাই নকশালী তরুণদের, তারা আামার প্রাণদণ্ডের হুকুম জারি করেছিল, বুঝাতে চেষ্টা করেছিলাম। তাদের নিরর্থক হত্যার অসারতা প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলাম। হিংসা এবং হিংস্রতা, এসব হচ্ছে জঙ্গলের স্বভাব । সভ্যতা আমাদের সহনশীল করেছে। সহাবস্থানে বিশ্বাসী করে তুলেছে। গণতান্ত্রিক আচার আমি একেই বলি।

হিংস্রতা আমাদের আদিম স্বভাবের অন্তর্গত। গণতান্ত্রিক সহনশীলতা আমাদের সভ্যতার দান। ডিক্টেটারি বা একনায়কত্ব আধুনিক পোশাকে মোড়া আদিম হিংস্রতা ছাড়া আর কিছুই নয়। সেই কারণেই ডিক্টেটারি টিকিয়ে রাখতে কেবলই বল প্রয়োগের দরকার হয়। এবং পরিবর্তন আনতে রক্তপাত কিছুতেই এড়াতে পারা যায় না।

গণতন্ত্রে বিরোধিতাকে সম্মান দেওয়া হয় বলেই এখানে পরিবর্তন সহজে হয়। এবং আজকের ক্ষমতাসীন নেতা আগামীকাল বিরোধী নেতার আসনে গিয়ে সভ্য আচার আচরণের মর্যাদা বৃদ্ধি করেন।

বারবার ঘুরে ফিরে তোমাকে যে গণতন্ত্রের সুবিধাগুলো দেখাচ্ছি, এতেই -বুঝতে পারবে, গণতন্ত্র আমার কতটা প্রিয়। মানুষের মর্যাদা গণতন্ত্রে যেমনভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে, এমনটি আর কোনও ব্যবস্থাতেই পায় নি।

আজ দুঃখের সঙ্গে তোমায় জানাচ্ছি, যে গণতান্ত্রিক আবহাওয়ায় গত ২৬ বছর আমরা কাটিয়েছি, তুমি জন্মেছ তের বছর আগে, তের বছর ধরে যার মধ্যে তুমি বড় হয়ে উঠছিলে, সেই গণতান্ত্রিক আবহাওয়া আবিল হয়ে উঠেছে। আজ সেই গণতন্ত্রকে নষ্ট করতে উদ্যত হয়েছেন অদূরদর্শী শাসকগোষ্ঠী। দেশে আজ জরুরী অবস্থা ঘোষণা করে গণতন্ত্রকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। এবং জনসাধারণের মঙ্গল করবার দোহাই পেড়ে আমাদের মৌলিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

আমার স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাটুকারবৃত্তি করার স্বাধীনতা ছাড়া অন্য সুরে কথা বলার অধিকারই আজ কারও নেই। এমন কি এই যে তোমাকে এই কথাগুলো জানাচ্ছি, এই অকপট উক্তি যখন ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হবে তখন হয়ত শুনবে তোমার বাবাকে এই অপরাধেও পুলিশে ধরে নিয়ে গিয়েছে। কেননা, এসব কথা বলা এখন বারণ।

খবরটা পেয়ে তোমার দুঃখ হবে, কিন্তু ভয় পেয়ো না। এই ধরণের ছোটখাট ঘটনাই মানুষকে শক্ত হতে সাহায্য করে। তাকে ভাবতে শেখায়। এবং সেই ভাবনা তাকে হাত ধরে বড় হবার দিকে নিয়ে চলে। তুমিও নিশ্চয়ই ভাববে। কিন্তু কখনোই নিজেকে এলোমেলো ভাবনার হাতে সঁপে দিও না। এতে লাভ হয় না। যে ভাবনা মনে প্রশ্নের জন্ম দেয় এবং উত্তর পাওয়ার জন্য অস্থির করে তোলে, সেই চিন্তাই কাজের চিন্তা। এই ধরণের চিন্তাকেই মনে জায়গা দেবে। তুমি আমার সম্পর্কে যাই শোন না কেন, তাতে বিচলিত হবে না। সর্বদাই এই কথাটা মনে রাখবে, তোমার বাবা দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। তুমি যদি সত্যিই তোমার বাবাকে ভালবাসো, তবে তুমিও তোমার দায়িত্ব পালন করতে শিখবে। তোমাকে এই চিঠি লেখাটাও আমার একটা দায়িত্ব পালন। আমাকে একটা কিছু করতেই হত। নাহলে আমার নিজের কাছে জবাবদিহি করতে পারতাম না।

২৬ জুন থেকে এ পর্যন্ত আমি যে কী যন্ত্রণায় দিন কাটিয়েছি আমিই জানি। প্রতি মুহূর্তে আমার মনে হয়েছে, আমি প্রধানমন্ত্রীকে এই কথা বলি, প্রধানমন্ত্রী, আপনি এ কোন্ সর্বনাশের পথে নেমে এলেন। এপথে আপনার আমার আমাদের বংশধরদের কারও কল্যাণ নেই। ইতিহাস বারবার তা দেখিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, ফিরুন ! আপনি ফিরুন! ব্যস্, এইটুকুই আমার বলবার কথা।

আমি ষড়যন্ত্রকারী নই, রাজনীতির দলবাজী করি না, আমি মাত্রই এক লেখক। এবং দায়িত্বশীল । এবং সমাজ সচেতন। এবং যুক্তিবাদী। নিজেকে সৎ রাখবারও চেষ্টা করি। তাই যখন বুঝলাম, প্রধানমন্ত্রী চোরাবালিতে পা ঠেকিয়েছেন, তখন সেটা প্রকাশ্যে জানিয়ে দেওয়াটাই আমার কর্তব্য বলে জ্ঞান করলাম। আমার বিন্দুমাত্র অহমিকা নেই তাই আমি জানি আমার কথাতে প্রধানমন্ত্রী কানও দেবেন না। কিন্তু তাতে কী? আমি ত সর্বনাশ দেখতে পেয়েছি। আর তাই আমাকে তা বলতেও হবে।

আমি মস্তক মুণ্ডনও এই ভেবেই করেছি। আমার লেখার অধিকার সেনসর কেড়ে নেওয়া মানে আমার মর্যাদাকেই অপহরণ করা। তারই প্রতিবাদ জানিয়েছি আমার মাথা মুড়িয়ে ।

কিন্তু আমি সেখানেই থামতে চাইনি। আমার অধিকার রক্ষা করবার জন্য আমাকে আরও একটু এগুতে হচ্ছে। আমাকে একথা বলতেই হবে: প্রধানমন্ত্রী ! আপনি এ কোন্ সর্বনাশের পথে এগিয়ে চলেছেন ? এ পথে কোনও কল্যাণ নেই। ফিরুন, আপনি ফিরুন।

স্নেহাস্পদেষু, তোমাকে লিখতে পেরে একটু স্বস্তি পেলাম। লেখাটা আরও অনেকে পড়ুন, আমি চাই । কেন না, তাহলে হয়ত আরও অনেকে নিজের কথা বলতে সাহস পাবেন। তাই এটা ছাপতে দিচ্ছি। গণতান্ত্রিক বাতাবরণে তোমরা বড় হয়ে ওঠো, এই কামনা।

আশীর্বাদক, তোমার বাবা,

গৌরকিশোর ঘোষ

(বানান অপরিবর্তিত)

2 COMMENTS

Comments are closed.