(লো বাজেটের ছবি, শিল্পীরাও নতুন। তবে এর অনেকগুলিই বম্বের তারকাশোভিত মেগাবাজেটের মারকাটারি ছবিগুলির সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে।  বলিউডে এভাবেই উঠে এসেছেন দেবশ্রী রায়ের মতো নতুন মুখ। সত্যি, দর্শকের মর্জি বোঝা ভার। লিখেছেন সাংবাদিক  অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়।)

দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, মেঘমুক্তি। বাঙালির চিরচেনা গেরস্তঘরের অচেনা মিষ্টতা। তরুণ মজুমদার মানেই এক ঝলক খোলা হাওয়া, একমুঠো মুক্তির আস্বাদ। তরুণ মজুমদার মানে তাপস পাল, মহুয়া, অনুপকুমার, অয়ন, উৎপল, রুমা। এবং অবশ্যই দেবশ্রী রায়।

বরেণ্য পরিচালকের প্রয়াণের পর ওঁর কীর্তি নিয়ে গুরুগম্ভীর লেখালেখির অন্ত নেই। সবই খুব মনোগ্রাহী, পাণ্ডিত্যের ঝলকানি, আবেগের বিস্ফোরণ ও তুখোড় বিশ্লেষণী ময়নাতদন্তে ভরপুর, সংস্কৃতির সফিস্টিকেটেড পালিশে ঋদ্ধ। এ হেন বৈদগ্ধের বিচ্ছুরণের মাঝে সাহস করে সম্পূর্ণ অন্য একটা গোদাগাবদা বিষয় নিয়ে লিখছি, যদিও সূত্রটা সেই দেবশ্রী রায়, যাঁকে তরুণ মজুমদারের ‘আবিষ্কার’ বলা যায় (একাধিক লেখায় অভিনেত্রী নিজেও জানিয়েছেন)।

দাদার কীর্তি ১৯৮০ সালের। বছরখানেক বাদে, একাশির মাঝামাঝি রিলিজ করল একটা পাতি বলিউডি ফিল্ম– জিও তো অ্যায়সে জিও। একেবারে লো বাজেটের, কাস্টিং যারপরনাই আনইম্প্রেসিভ। অরুণ গোভিল (পরে রামানন্দ সাগরের রামায়ণ টেলি সিরিয়ালে রামচরিত্রের সুবাদে যাঁর কপাল খুলে যায়), বিজয় অরোরা (ইয়াদোঁ কি বারাতের হারিয়ে যাওয়া ভাই, চেনা অভিনেতা, পরে রামায়ণের মেঘনাদ) জয়শ্রী গড়কর (রামায়ণের কৌশল্যা হবেন) ইত্যাদি প্রায় অনামী মুখ, ভিলেন গোগা কাপুর। আর নায়িকা…

নায়িকা– হিন্দি সিনেমায় নবাগতা, আমাদের দেবশ্রী রায়।

মনে রাখা দরকার, সালটা ১৯৮১। বলিউডি সিনেমার দীপ্ত মধ্যাহ্নকাল। সে বছর বোম্বের রিলিজ করা ফিল্মগুলোর নাম একবার শুনুন।

একা অমিতাভ বচ্চনেরই চার-চারটে ব্লকবাস্টার— লাওয়ারিশ, ইয়ারানা, নসীব, কালিয়া। এ ছাড়া মনোজকুমার-দিলীপকুমার-শশী কাপুর-শত্রুঘ্ন-হেমামালিনী প্রমুখ তারকাশোভিত মাল্টিস্টারার মেগাবাজেট ক্রান্তি, জিতেন্দ্র-হেমার সুপারহিট থ্রিলার মেরি আওয়াজ শুনো, ধর্মেন্দ্র-ঋষি-আমজাদ-জিনাতের ধুম মাচিয়ে দেওয়া কাতিলোঁ কে কাতিল, সঞ্জয় দত্ত-টিনা মুনিমের ধুন্ধুমার যৌবনোচ্ছ্বাস রকি, নবীন প্রেমের দুই মাইলফলক— লাভ স্টোরি ও এক দুজে কে লিয়ে, ইত্যাদি ইত্যাদি। খরচ, কাস্টিং, গান— সবেতেই এ বলে আমায় দ্যাখ।

এই বাজারে বোধহয় স্রেফ কালো টাকা সাদা করার ধান্দায় ‘জিও তো অ্যায়সে জিও’ নামক মামুলি ফর্মুলা ছবিটি বানানো হয়েছিল, নির্মাতারা নিজেরাও নিশ্চয় কোনও রিটার্ন আশা করেননি। কাহিনি একান্ত ক্লিশে— সৎ ভাই, দুষ্টবুদ্ধি বৌয়ের কুমন্ত্রণা, ভালমানুষের কষ্টভোগ, নায়ক-নায়িকার সততা-সাহস, সৌন্দর্য-ভালবাসার জয়, ভিলেন পর্যুদস্ত ও পরিশেষে ভুল বোঝাবুঝির অবসান, পারিবারিক পুনর্মিলন। হ্যাপি এন্ডিং।

মানে, পুরোদস্তুর একঘেয়ে মশালা মুভি, নতুনত্বের ন-ও নেই। এ আর কী হবে?

মানুষ ভাবে এক, হয় এক।

চরম চমক লাগিয়ে, বক্স অফিসকে হতভম্ব করে, সব হিসেব উল্টেপাল্টে দিয়ে, বাঘা বাঘা রথী-মহারথীর পাঙ্গা টেনে ‘তালপাতার সেপাই’ সেই ‘জিও তো অ্যায়সে জিও’’ মারকাটারি হিট হয়ে গেল! অরুণ গোভিল-দেবশ্রী রায়ে আপাদমস্তক মজে গেল হিন্দিবলয়!

খাস কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ব্যাপারটা কতটা টের পেয়েছিলেন জানি না, বিহার লাগোয়া খনি অঞ্চলের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে আমরা হাড়েমজ্জায় বুঝেছিলাম। আমরা তখন‌ বছর চোদ্দো-পনেরো, পুরো অধ্যায়টা স্পষ্ট মনে আছে। ধানবাদের রায় টকিজ, দেশবন্ধু সিনেমা হলে ‘জিও তো অ্যায়সে জিও’ মাসের পর মাস রাজ করল, অধিকাংশ শো হাউসফুল। আর আসানসোলের বনেদিতম চিত্রা সিনেমাহলে ইতিহাস তৈরি হল। জিও তো অ্যায়সে জিও চিত্রায় নয় নয় করে করে দেড় বছর টানা চলেছিল, শেষের ক’টা মাস যদিও শুধু নুন শো। ছবিটা দেখেনি, তামাম তল্লাটে বোধহয় এমন একটা মানুষও ছিল না। বিহারের (তখনও ঝাড়খণ্ড হয়নি) দূর দূরান্ত থেকে ট্রেকার বোঝাই করে আসা দেহাতি দর্শকের ঢেউ সুনামি হয়ে রোজ আছড়ে পড়ত চিত্রা হলের সুরম্য মার্বেল সোপানে। অরুণ গোভিল-দেবশ্রীর লিপে, ভুপিন্দর-ঊষা মঙ্গেশকরের গলায় রাম-লক্ষ্মণ সুরারোপিত ‘কোয়েলিয়া কালি হ্যায়, ক্যালি হ্যায়.. কালি হ্যায় তো ক্যা, মিঠা গানেওয়ালি হ্যায়..’ গানটিও বিস্তর হিট হয়ে যায়।

ম্যাড়মেড়ে বহিরঙ্গের সস্তাদরের ওই সিনেমাই বিহার-উত্তরপ্রদেশে অকল্পনীয় বহরের ব্যবসা করে বিপুল মুনাফা লোটে, প্রযোজক ফুলে-ফেঁপে লাল হয়ে যান।

দর্শকের মর্জি বোঝা ভার। কার যে কীসে মজে মন!

ঠিক একই রকম ঘটনা দেখা গিয়েছিল তিন বছর আগে, ১৯৭৮ সালে। সে বছর দিগবিদিক কাঁপিয়ে বোম্বেতে রিলিজ হল একের পর এক ধুমাধার ছবি, যাদের নাম শুনলেই বুক ধড়ফড়। একা বচ্চনের পাঁচ-পাঁচটা জগদ্বিখ্যাত কালজয়ী পিস— মুকদ্দর কা সিকন্দর, ডন, কসমে ওয়াদে, ত্রিশূল, গঙ্গা কি সৌগন্ধ। এছাড়া সত্যম শিবম সুন্দরম, ম্যঁয় তুলসী তেরে আঙ্গন কি, স্বরগ-নরকের মতো বেশ কিছু চিরকালীন সৃষ্টি। সব মেগাবাজেট, বিগস্টারার, ক্ষুরধার স্টোরি লাইন। তাদের প্রতিটা গান আগে থেকেই বাজার কাঁপিয়ে রেকর্ড-ক্যাসেটের বিপণিতে বিপণিতে ঝড় তুলেছে।

এই শোরগোলের মাঝে চুপচাপ, প্রায় নিঃশব্দে রিলিজ হল রাজশ্রী প্রডাকশনের অতি লো প্রোফাইল, লো বাজেট ছবি— আঁখিয়োকে ঝরোখোঁসে। নায়ক শচীন, নায়িকা রঞ্জিতা। বাকি কাস্টিংও একেবারে সাদামাটা— ইফতেকার, মদন পুরীদের সঙ্গে আমাদের হারীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, হিন্দি কমার্শিয়াল ফিল্মের দর্শক যাঁকে বিশেষ চেনে না। পরিচালকও বাঙালি, হীরেন নাগ। সুরকার রবীন্দ্র জৈন, রাজশ্রীর অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ যিনি।

পরিচ্ছন্ন, ছিমছাম, সঙ্গীতবহুল, মিষ্টি, ঘরোয়া সিনেমা অবশ্য রাজশ্রী প্র‌ডাকশনের বরাবরের ইউএসপি, খ্যাতি বহু দিনের। এর আগে রাজশ্রীর দোস্তি, সুরজ, সওদাগর, উপহার, জীবন-মৃত্যু, গীত গাতা চল, পিয়া কি ঘর, তপস্যা, হামরাহি, চিতচোর ইত্যাদি মানুষের প্রভূত মনোরঞ্জন করেছে। ১৯৬৭তে এরাই বানিয়েছিল মিলন– সুনীল দত্ত-নূতনের মাস্টারপিস, যার ‘শাঁওনকা মাহিনা, পবন করে শোর’-এ (মুকেশ-লতা) মোহিত হয়েছিল সারা দেশ। এঁরা না হয় নামকরা নায়ক-নায়িকা। ঠিক আগের বছর, ১৯৭৭ সালে প্রেম কিশোর, রামেশ্বরীর মতো অনামীকে জুটি বাঁধিয়ে রাজশ্রী বানিয়েছে মিউজিক্যাল ফ্যামিলি ড্রামা— দুলহন ওঁহি যো পিয়া মন ভায়ে। সে-ও খারাপ ব্যবসা করেনি। বিশেষত যেশুদাস, বনশ্রী সেনগুপ্ত ও হেমলতার মিলিত কণ্ঠে ‘খুশিয়াঁহি খুশিয়াঁ, হো দামন মে জিসকে.. কিঁউ না খুশিসে, ও দিওয়ানা হো যায়ে..’ গানটি বিশাল জনপ্রিয় হয়। সুরকার সেই রবীন্দ্র জৈন।

চোখ ধাঁধানো রোশনাইয়ের মাঝে রাজশ্রীর আটপৌরে ছবিগুলো যেন জ্যোৎস্নারাতের একরাশ মায়াময় স্নিগ্ধতা!

কিন্তু এটুকুই। লোকসান না হলেও বাণিজ্যিক ভাবে বিশাল মুনাফার প্রত্যাশা ওঁদের কখনওই ছিল না, আঁখিয়োকে..র জন্যও নয়।

এখানেও মিরাকল!

‘মুকদ্দর’দের সঙ্গে পাক্কা সিকন্দরের মতোই পাল্লা টেনে আঁখিয়োঁকে ঝরোখোঁসে বক্স অফিসে সাইক্লোন তুলে দিয়ে আসলি ‘ডন’ বনে যায়। জুবিলি হিট, সুপারডুপার ব্লকবাস্টার তকমা। প্রতিটা গান তুলকালাম বাঁধিয়ে দেয়, আপামর জনতার মুখে মুখে ফিরতে থাকে হেমলতার কণ্ঠে ছবির টাইটল সং– আঁখিয়োঁকে ঝরোখোঁসে, ম্যাঁয়নে দেখা হ্যায় সাঁওরে…তুম দূর নজর আয়ে, বড়ি দূর নজর আয়ে..। ফিল্মফেয়ার থেকে বিনাকা গীতমালা— আরে দিওয়ানো, মুঝে পহেচানো, আঁখ লড়ি হমসে, সত্যম শিবম সুন্দরম, কসমে ওয়াদে নিভায়েঙ্গে হম, গাপুচি গাপুচি গাম গাম কিংবা রোতে হুয়ে আতে হ্যায় সব-কে ধরাশায়ী করে চ্যাম্পিয়ন আঁখিয়োকে ঝরোখোঁসে, ম্যাঁয়নে দেখা হ্যায় সাঁওরে..!

ভাবা যায়?

ওই যে.. দর্শকের মর্জি। কার কীসে মজে মন…

রাজশ্রী প্রসঙ্গ যখন এলই, আরও কয়েকটা তথ্য মনে করিয়ে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারছি না। আঁখিয়োঁকে..র পরের বছর, ১৯৭৯ সালে তুলনায় অখ্যাতদের দিয়ে ফের এক্সপেরিমেন্ট করে দুরন্ত সফল হয় রাজশ্রী। সেবারের ফসল ছিল ‘শাওনকো আনে দো।’ অরুণ গোভিল, জারিনা ওয়াহাবের মিউজিক্যাল ফ্যামিলি ড্রামা। রাজ কমলের সুরে টাইটল সং গেয়েছিলেন যশপাল সিং ও কল্যাণী মিত্র– তুমহে গীতোঁমে ডালুঙ্গা.. শাওন কো আনে দো। একই সঙ্গে যেশুদাসের কণ্ঠে ‘চাঁদ য্যায়সে মুখরে পে বিন্দিয়া সিতারা’-সহ ছবিটির প্রায় সব গান তুমুল হিট। একই ট্র্যাডিশনের স্রোত ধরে ১৯৮২-তে আসে নদিয়াঁ কে পার— নায়ক শচীন, নায়িকা নবাগতা সাধনা সিং। গোবলয়ের গ্রাম্য প্রেক্ষাপটে প্রেম-প্রণয়-পারিবারিক টানাপোড়েন ও রবীন্দ্র জৈনের সুরে শ্রুতিমধুর গানের ঢল।

সব মিলিয়ে কম খরচে দুর্দান্ত এন্টারটেনিং প্যাকেজ, এবং ছবি সুপারহিট।

বস্তুত নবাগতদের সুযোগ দেওয়াটা রাজশ্রী অভ্যাসে পরিণত করেছিল। তারই ফলশ্রুতি ‘অবোধ।’ বাংলার তাপস পালের প্রথম হিন্দি ছবি, নায়িকা মাধুরী দীক্ষিত। ভেঞ্চারটি অবশ্য সফল হয়নি। তবে সে বছরই অনুপম খের-রোহিনী হত্তঙ্গদিকে নিয়ে ছকভাঙা স্টোরিলাইনের ‘সারাংশ’ ভারতীয় সিনেমার কালপঞ্জিতে নিজের জায়গা করে নিতে সমর্থ হয়।

কিন্তু সব দিন সমান যায় না।

আস্তে আস্তে সংস্থা রুগণ হতে থাকে, সাতাশি-অষ্টাশি নাগাদ তো ঝাঁপ গোটানোর দশা। শেষ চেষ্টা হিসেবে রাজশ্রী একটা ‘ডু-অর-ডাই’ বাজি খেলল। দুই আনকোরা জুটিকে এনে টিকে থাকার মরণপণ চেষ্টা। ফলশ্রুতি— ম্যাঁয়নে পেয়ার কিয়া। নায়ক নবাগত সলমন খান, নায়িকা নবাগতা ভাগ্যশ্রী। সাল ১৯৮৯।

পরবর্তী ঘটনাক্রম ইতিহাস।

সে বছরের সফলতম শুধু নয়, পুরো আশির দশকের সর্বাধিক উপার্জনকারী ছবি হিসেবে ‘ম্যাঁয়নে পেয়ার কিয়া’ (সংক্ষেপে এমপিকে)-র নাম ভারতীয় চলচ্চিত্র খতিয়ানে জ্বলজ্বল করছে। এমনই ক্রেজ, সে সময় রসিকতাচ্ছলে সেটিকে ভারতের ‘জাতীয় সিনেমা’ হিসেবে অভিহিত করা হতো, লতা মঙ্গেশকর-এসপি বালসুব্রণ্যমের ডুয়েটে ‘কবুতর যা যা যা’ গানটি (সুরকার রাম-লক্ষ্মণ) প্রায় জাতীয় সঙ্গীতের পর্যায়ে চলে যায় (সিরিয়াসলি ধরে নিয়ে অনর্থক জলঘোলা করবেন না প্লিজ)। ফিল্মফেয়ারের বারোটি বিভাগে মনোনীত হয়ে ছ’টি অ্যাওয়ার্ড জিতে নজির গড়ে ফেলে এমপিকে।

বাঁচিয়ে দেয় রাজশ্রীকেও।

তার পরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজশ্রী প্রডাকশন মোটামুটি বিগ ব্যানারে চলে যায়। চুরানব্বইয়ে হাম আপকে হ্যায় কউন (সলমন-মাধুরী), নিরানব্বইয়ে হাম সাথ সাথ হ্যায় (সলমন-তব্বু-সইফ-করিশ্মা-সোনালি বেন্দ্রে-মণীশ বহেল), ২০০৬-এ বিবাহ (শহিদ কাপুর-অমৃতা রাও), ২০১৫-য় প্রেম রতন ধন পায়ো (সলমন-সোনম কাপুর) ইত্যাদি তাদের উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।

তবে রাজশ্রীর পুনর্জন্মের মূলে সেই এমপিকে। নতুন জুটি এনে বাজি খেলে হিমালয়সদৃশ জয়লাভ। কারণ…

দর্শকচরিত্র দেবা ন জানন্তি। কার যে কীসে মজে মন…!!!