“নবরসে পটল ” নিয়ে আমি ধানসিড়ি আপনাদের সামনে।
যাঁরা পটল দেখে মুখ ঘুরিয়ে থাকেন, এটি তাঁদের জন্যে। পটলের এই পদটি আজ করলাম । দারুণ খেতে লাগবে। আসলে শনি -রবিবার বাড়িতে মোটামুটি সবাই থাকে তাই নতুন কিছু করে পরিবারের সকলের থেকে অদ্ভুত একটা দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকাকে আমি খুব এনজয় করি। মাছ, মাংস রান্না করা সহজ কিন্তু নিরামিষ পদ দেখে যাঁরা মুখ ঘুরিয়ে থাকেন তাঁদের এটা ভাল লাগবেই লাগবে।
অতি ব্যস্ততার মধ্যেও সপ্তাহে দু-একদিন একটু অন্যরকমের পদ করা যেতেই পারে ।
এখানে লিখে দিচ্ছি কী ভাবে আমি রান্নাটা করেছি …..
(১) পটল গোটা গোটা রাখতে হবে খোসা ছাড়িয়ে ; দুপাশ থেকে হাল্কা কেটে নিতে হবে যাতে মশলা ঢোকে ; হলুদ-নুন মাখিয়ে নিতে হবে।
(২) হলুদ -গরম মশলা -লাল লঙ্কা – ধনে -জিরে -আদা-রসুন একসঙ্গে মিক্সিতে পেস্ট করে রাখতে হবে।
(৩) কাজু পেস্ট করে রাখতে হবে।
(৪) পোস্ত পেস্ট করে রাখতে হবে।
(৫ ) পেঁয়াজ – ধনেপাতা আর টমেটো কুচি আলাদা করে কেটে রাখতে হবে
(৬) কিশমিশ ভিজিয়ে রাখতে হবে
এবার কড়াইয়ে তেল গরম হলে …
(১)পটলগুলো অল্প ভেজে নিতে হবে। ভাজা হলে উঠিয়ে রাখতে হবে।
( ২ )গোটা দারচিনি , লবঙ্গ আর এলাচ টুকরো করে হালকা করে ভাজতে হবে।
(৩) এরপর পেঁয়াজকুচি দিয়ে নাড়িয়ে নিয়ে
(৪) কাজু বাটা দিয়ে হালকা ভেজে নিতে হবে।
(৫) তারপর টমেটো কুচি দিয়ে নাড়িয়ে নিতে হবে।
(৬) বাটা মশলা সবটা ঢেলে দিতে হবে। সামান্য চিনি তার উপরে। না দিলেও ক্ষতি নেই।
(৭) মশলা ভাজা ভাজা হলে অল্প অল্প করে জল দিতে হবে ।
(৮) এরপর ভাজা পটলগুলো দিয়ে নাড়িয়ে তার উপর জল দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
(৯) ভেজানো কিশমিশ ছড়িয়ে দিতে হবে।
(১০) নামানোর আগে ধনেপাতা অথবা ঘি ছড়িয়ে দিন।
রান্না করে খেয়ে জানাতে আবার ভুলে যাবেন না যেন। আর পরিবারের মানুষদের জন্যে, আপনজনদের জন্যে নিজের হাতে রান্না করে পরিবেশন করার মধ্যে একটা অন্যরকম ভালোলাগাও কিন্তু কাজ করে, তাই না? দেখুন না, পটলের এই রেসিপি নিয়ে তাঁরা কী বলেন।
আর নিজে খেতে ভালোবাসলে রান্না করার মজাই কিন্তু আলাদা। আর প্রিয়জনদের জন্যে এটুকু চমক তো দেওয়াই যায় তাই না?