ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় রানী ক্লিওপেট্রা দুধ দিয়ে স্নান করতেন। এ গল্প কম-বেশি সকলেরই জানা। এ সব কতটা সত্যি, তা নিয়ে তর্ক-বিতর্কে না যাচ্ছি না। তবে দুধ দিয়ে স্নান করা যে বাস্তবে কেবলই বিলাসিতা, তা নিয়ে কারও কোনও দ্বিমত নেই। দুধ দিয়ে স্নান করার কোনও উপকারিতা রয়েছে কি না, সে প্রশ্নও অনেকের মনে রয়েছে।

বিজ্ঞান বলছে, ত্বক সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যায় দুধ অনেক উপকারী। ত্বকের যত্নে এর ব্যবহার খুবই উপযোগী। সুন্দর ত্বক ও ত্বকের চর্চায় দুধের উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা যাক।

ত্বকে বয়সের ছাপ পড়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। নির্দিষ্ট একটা বয়সসীমা পার করার পর মানুষের মুখে ও ত্বকে বলিরেখা ফুটে উঠে। অনেকে এ নিয়ে লজ্জায় ভোগেন। কিন্তু দুধ ব্যবহারে এই সমস্যা থেকে দারুণ সমাধান পাওয়া যায়। দুধে থাকা ল্যাকটিক এসিড ত্বকের বলিরেখা কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে তুলো দিয়ে দুধ ব্যবহার করতে পারেন বা অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন।

কোনও কারণে আপনাকে হয়তো রোদে চলাফেরা করতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রোদের তাপে ত্বক জ্বলে যায়। এক্ষেত্রে ঠাণ্ডা দুধ তুলো নিয়ে মুখের চারপাশে ভাল করে মাখিয়ে নিন।

স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ করতে বাজারে পাওয়া ক্রিম ব্যবহার না করে দুধ লাগাতে পারেন। বিভিন্ন ফেস প্যাকের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে ময়েশ্চারাইজারে পরিণত করুন। নিয়মিত ব্যবহারে স্কিন ভাল থাকবে, শুষ্ক হবে না। শীতকালে এটা নিয়মিত ব্যবহার করা যেতে পারে। দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে তাই ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে দুধের বিকল্প কিছু হতে পারে না। কাঁচা দুধ ত্বকের যত্নে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ত্বকের নোংরা ও তৈলাক্তভাব দূর করতে দুধ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। নিয়মিত ব্যবহারের ফলে নিজেই এর উপকারিতা বুঝতে পারবেন। তবে ত্বকের সমস্যা যদি দ্রুত ভিন্ন দিকে মোড় নিতে থাকে বা তীব্র আকার ধারণ করে তাহলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।