আমি ধানসিড়ি আজ আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি স্পেশাল একটা রেসিপি নিয়ে। হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন স্পেশাল খিচুড়ি।
আমার রান্নাঘরে আজ হঠাৎ করেই প্ল্যান সব পাল্টে গেল। চিকেন কষা করতে গিয়ে আকাশের রং আমাকে কেমন উতলা করে দিল। চিকেন কষাকে একশ শতাংশ হারিয়ে দিল একেবারে গোবিন্দ ভোগ চাল আর মুগ ডাল।
রবিবার মানেই স্পেশাল কিছু খাওয়া-দাওয়া প্রত্যেকের বাড়িতেই হয়। কিন্তু আজ আমার রান্নাঘরে চিকেন মাটন সব বাদ দিয়ে মুগের ডালের খিচুড়ি , লম্বা লম্বা বেগুন ভাজা, একটা পাঁচমিশালি সবজি, টমেটোর চাটনি আর পায়েশ।
আহা কী অপূর্ব পরিবেশ , মনে হচ্ছে আজ লক্ষ্মীপুজো । আসলে খিচুড়ি খেতে ভীষণ ভালবাসি তা সে যে খিচুড়ি-ই হোক।
কিন্তু স্পেশাল ডে-তে স্পেশাল খিচুড়ি হবে না? আজ যে রবিবার।
আজকের খিচুড়িটা একটু অন্য ভাবে করলাম। এক্সপেরিমেন্ট করতে ভাল লাগে। আপনারাও একদিন চেষ্টা করে দেখুন, দারুণ লাগবে।
কী কী লাগবে এবং কী ভাবে করছি ….
( ১) গোবিন্দভোগ চাল ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে।
(২) এরপর মুগ ডাল হালকা করে ভেজে নিতে হবে।
তারপর হাল্কা ভাজা ডালটা জলে ধুয়ে আলাদা একটা পাত্রে রাখতে হবে।
(৩) বাড়িতে যেমন সবজি থাকবে সেগুলো কেটে ভেজে রাখতে হবে।
(৪) এবার কড়াইয়ে তেল দিয়ে শুকনো লঙ্কা গোটা দুটো-তিনটে, গোটা জিরে সামান্য , তেজপাতা , ধনেগুঁড়ো, দারচিনি দিয়ে হালকা ভেজে , তারপর ( মিক্সিতে আদা , এলাচ , আরও একটু দারচিনি, ধনে গুড়ো, শুকনো লঙ্কা, হলুদ, গোটা জিরে বেটে নিয়ে এই গরম তেলে দিতে হবে) , এরপর নুন , আর জল সামান্য দিয়ে কষিয়ে নিয়ে টমেটোকুচি দিয়ে কষাতে হবে। মুগডাল ঢেলে দিতে হবে। গরম জল দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।
(৫) কিছুক্ষণ পরে গোবিন্দভোগ চালটা দিয়ে ভাল করে নাড়াতে হবে যাতে কড়াইয়ে লেগে না যায় । এবার ভাজা সবজিগুলো এবং কিশমিশ আর কাজু দিয়ে আরও একটু গরম জল দিয়ে একটা পাত্র দিয়ে ঢেকে দিতে হবে ।
সবশেষে ঘি ছড়িয়ে দিতে হবে।
শুধু চালে ডালে কিন্তু খিচুড়ি হয় না। প্রতিটি জিনিসকে যত্ন করে , ভালোবেসে মনের মাধুরী মিশিয়ে করলে তার সুবাস আকাশে বাতাসে দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়বেই পড়বে।
হয়তো সামান্য খিচুড়ি-ই কিন্তু যে ভালবাসা বা ভাললাগা মিশে আছে তার মূল্য-ই বা কম কী ?