শুভকাজ শুরু করার আগে অনেকেই পুজোপাঠ করেন। কিন্তু শুনেছেন কি কখনও— চুরিতে  সফল হওয়ার কামনায় কোনও চোর পুজো করতে বসেছে? হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে কেরলে। তা-ও আবার যে-সে চুরি নয়, একেবারে ব্যাঙ্কের লকার ভেঙে সোনা-গয়না আর টাকাপয়সা লোপাট করে দেওয়ার কাজ। চুরির অঙ্কটাও নেহাত কম নয়, একেবারে ৩৪ লক্ষ টাকা।

কেরলের সংবাদ মাধ্যম ‘মনোরমা অনলাইন’ এই খবরকে সামনে নিয়ে এসেছে। তারা জানিয়েছে, কেরলের কোল্লাম জেলার একটি বেসরকারি আর্থিক সংস্থায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ‘পাঠানপুরম ব্যাঙ্কার্স’ নামের ওই সংস্থায় সম্প্রতি চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত ১৬ মে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। বেশ কয়েকজন চোর ব্যাঙ্কের লকার ভেঙে জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে। মজার ব্যাপার হল, ওই আর্থিক সংস্থার দরজা ভেঙে ঢোকার পর চোরেদের দল প্রথমে পুজো করতে বসেছিস। তারপর তারা নিজেদের  কাজে হাত দেয়।

গত ১৬ মে ওই সংস্থার কর্ণধার রামচন্দ্রন নায়ার সকাল ন’টার সময়ে অফিসে পৌঁছন। দফতরে ঢুকেই তিনি দেখেন, লকারের সামনে তিনটি পানপাতার উপর বসানো রয়েছে ঠাকুরের ছবি। এছাড়াও রয়েছে, হলুদ সুতো, লেবু। আর পড়ে আছে হাতে লেখা একটি কাগজের টুকরো। তাতে লেখা রয়েছে, ‘‘আমি ভয়ঙ্কর। পিছু নেওয়ার চেষ্টা কোরো না।’’ রামচন্দ্রন আবিষ্কার করেন, চোরের দল লকার ভেঙে ৩০ লক্ষ টাকার গয়না আর নগদ ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিয়েছে।

রামচন্দ্রন জানিয়েছেন, চারতলা বাড়িটির ছাদের দিক থেকে ঢুকেছিল চোরেরা। লোহার গ্রিল কেটে, দরজা ভেঙে ওই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঢুকে পডে তারা। লকার থেকে গয়না চুরি করতে কাটার নিয়ে এসেছিল চোররা। আর সবকিছু যাতে ভালোয় ভালো\য় মিটে যায়, সেজন্য একেবারে পুজোপাঠ করে চুরির কাজে হাত দিয়েছে চোরেরা।

চুরির আগে ঠাকুর প্রণাম

তবে এই ক্ষেত্রে পুজোর পর চোরের দল সাফল্য পেলেও কিছুদিন আগে কেরলে আবার অন্যরকম ঘটনা ঘটেছে। তারাউনহা এলাকার একটি  প্রাচীন বালাজি মন্দির থেকে অষ্টধাতুর ১৬টি মূর্তি উধাও হয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য কয়েক কোটি টাকা। তার পরেই চোররা হঠাৎ ১৪টি মূর্তি মন্দিরে ফিরিয়ে দিয়ে যায়। মন্দিরের পূজারী একটা বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন। তার মধ্যে একটি চিঠিও মেলে। চোরেরা লিখেছে, ‘‘রাতে খারাপ খারাপ স্বপ্ন দেখছি। তাই মূর্তিগুলি ফিরিয়ে দিয়ে গেলাম।’’