৮০ বছরের একজন মহিলার উপাখ্যান লিখেছেন ৬৪ বছর বয়সি এক লেখিকা। গীতাঞ্জলি শ্রী। তাতেই মুগ্ধ সারা বিশ্ব। বিখ্যাত বুকার পুরস্কারে এবছর সম্মানিত হল “রেত সমাধি” উপন্যাসটিকে। যে কোনও ভারতীয় ভাষায় এই প্রথমবার বুকার পুরস্কার পেল কোনও বই। বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে “Tomb Of Sand” নাম দিয়ে। বুকার পুরস্কার দিতে গিয়ে বিচারকেরা উপন্যাসটির সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘এটি একটি অপ্রতিরোধ্য উপন্যাস যা মানুষের হৃদয়ে আনন্দের সৃষ্টি করেছে।’’
বৃহস্পতিবার লন্ডনে একটি অনুষ্ঠানে, দিল্লিবাসী লেখিকা গীতাঞ্জলি শ্রী বলেছেন , “আমি কখনওই বুকার পুরস্কারের স্বপ্ন দেখিনি, কখনওই ভাবিনি যে এই পুরস্কার পেতে পারি। কী বিরাট স্বীকৃতি দেওয়া হল আমার বইকে! আমি বিস্মিত, আনন্দিত, সম্মানিত।’’ গীতাঞ্জলির কথায়, “এই পুরস্কারে একটি বিষণ্ণ তৃপ্তি রয়েছে৷ ‘রেত সমাধি’ আমাদের বসবাসের জগতের জন্য একটি শোভা, একটি দীর্ঘস্থায়ী শক্তি— ধ্বংসের মুখেও যা আশা কে বাঁচিয়ে রাখে৷ ।” গীতাঞ্জলির বইটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেছেন ডেইজি রকওয়েল। নাম দিয়েছেন, “Tomb Of Sand’. বুকার কমিটি এই বইটি পড়ে মুগ্ধ। বিচারক প্যানেলের চেয়ারপার্সন ফ্র্যাঙ্ক উইন বলেছেন, ‘‘এই বইটির শক্তি আমাদের মুগ্ধ করেছে।’’আমেরিকার ভার্মন্টের বাসিন্দা, চিত্রশিল্পী রকওয়েল গীতাঞ্জলির উপন্যাসটিকে “হিন্দি ভাষার প্রতি প্রেমের চিঠি” হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
বুকার পুরস্কারের জন্য ‘Tomb Of Sand’ বইটিকে অন্য ছ’টি উপন্যাসের মধ্য থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে। কথাসাহিত্যের জন্য বুকার আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রতি বছর এমন একটি বইকে দেওয়া হয় যা ইংরেজিতে অনুবাদ করা হয়েছে এবং যুক্তরাজ্য বা আয়ারল্যান্ডে প্রকাশিত হয়েছে।
গীতাঞ্জলী শ্রী তাঁর পুরস্কার বইটির অনুবাদক ডেইজি রকওয়েলের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন।