যুদ্ধ ও ফুটবল। মৃত্যুর হুঙ্কারের পাশাপাশি জীবনের ছন্দ।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে নয় নয় করে মাস আটেক গড়িয়ে গেল। প্রাথমিক অভিঘাতে বিস্তর শোরগোল তুলে লোকজন ভুলেও গেছে। একের পর এক ইউক্রেনীয় শহর ধূলিসাৎ হচ্ছে, রুশ সেনাদের বর্বরতার হরেক ছবি সামনে আসছে, কিন্তু আমাদের মনে আর দাগ কাটে না। যুদ্ধ চলছে যুদ্ধের মতো, আমরা আছি আমাদের মতো।
তারই মধ্যে এসে পড়ল কাতার বিশ্বকাপ। মেসি-রোনাল্ডো-নেমারদের নিয়ে উন্মাদনার তুঙ্গ মুহূর্তে কেউ খেয়াল করিনি, মনের আড়াল দিয়ে আর এক দুনিয়া কাঁপানো যুদ্ধের চল্লিশ বছর পার হয়ে গিয়েছে নিঃশব্দে, যার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে আর এক বিশ্বকাপ ফুটবলের স্মৃতি। প্রায় আড়াই মাস ধরে চলা ওই সংঘাতে বিবদমান দুই রাষ্ট্রের প্রায় হাজার সেনা মারা যায়, ক্ষয়ক্ষতিও কম নয়। তবে সবচেয়ে তীব্র ছিল আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া। তামাম বিশ্বকে আক্ষরিক অর্থেই কাঁপিয়ে দেয় ১৯৮২-র সেই ফকল্যান্ড ওয়ার। চার বছর বাদে বিশ্ব ক্রীড়ার আঙিনাতেও আছড়ে পড়ে তার রেশ, সৃষ্টি করে ইতিহাস।
দুনিয়ার সামরিক ইতিহাসেও ফকল্যান্ড যুদ্ধ বেনজির। কারণ ইউক্রেন-রাশিয়া বা ভারত-পাকিস্তানের মতো পড়শি দেশ নয়, এখানে যুঝুধান দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব সমুদ্রপথে প্রায় আট হাজার মাইল। লাতিন আমেরিকার আর্জেন্টিনা ও ইউরোপের ইংল্যান্ড। দক্ষিণ আটলান্টিকে, মূল আর্জেন্টিনীয় ভূখণ্ডের তিনশো মাইল দূরবর্তী ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জের উপর দখলদারি কায়েম রাখতে ব্রিটিশ বাহিনী যে ভাবে এই দুস্তর পথ তড়িৎবেগে উজিয়ে এসে জলে-স্থলে-অন্তরীক্ষে দুর্দম আক্রমণ শানায়, সামরিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। শুধু তা-ই নয়, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘোরানো ‘ডি ডে’ অপারেশনে নর্মান্ডি উপকূলে মিত্রবাহিনীর ঐতিহাসিক উভচর (অ্যামফিবিয়াস) অবতরণের ঠিক আটত্রিশ বছর পর সারা দুনিয়া সবিস্ময়ে ফকল্যান্ডেই প্রত্যক্ষ করেছিল আর একটি নিপুণ অ্যামফিবিয়াস অপারেশন– মরিয়া প্রতিরোধের মুখে ব্রিটিশ ফৌজের কুশলী অবতরণ ও যুদ্ধজয়।
আর্জেন্টিনার নাকের ডগায় ফকল্যান্ডে ব্রিটিশ শাসন বলবৎ হয় ১৮৩৩ সালে। তখন থেকেই ফকল্যান্ড তাদের গলার কাঁটা, বেইজ্জতির জলজ্যান্ত নিশানি। ১৯৮২ সালের গোড়ায় আর্জেন্টিনার আর্থিক দৈন্যদশা চরমে পৌছায়, পরের পর দুর্নীতি ও অপরাধের বিস্ফোরণে দেশ টালমাটাল। তদানীন্তন সামরিক শাসক লেফটেন্যান্ট জেনারেল লিওপোল্ড গালটিয়েরি জনগণের নজর ঘোরানোর তাগিদে ফকল্যান্ডকে বেছে নিলেন। এপ্রিলের গোড়ায় ব্রিটিশশাসিত দ্বীপপুঞ্জে সেনা হামলা চালিয়ে পতপতিয়ে উড়িয়ে দিলেন আর্জেন্টিনার ফ্ল্যাগ।
যেমনটি ভেবেছিলেন, তেমন-ই হল। মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি, খাদ্যাভাব, অনটন ইত্যাদি বেমালুম ভুলে মেরে দিয়ে আমজনতা দেশাত্মবোধের জোয়ারে ভেসে গেল, লিওপোল্ডের নামে জয়ধ্বনি দিতে দিতে বুয়েনস অয়ার্সে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে উল্লাসে মাতল লাখো মানুষ– হ্যাঁ, অ্যাদ্দিনে কাজের কাজ হয়েছে। ব্রিটিশদের থোঁতা মুখ ভোঁতা হবে এবার। সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পেরিয়ে আমাদের ঘাড়ের উপর এসে রেলাবাজি! বোঝ এখন। পিষে পিষে মারব সব ক’টাকে।
মানে, ফৌজি প্রশাসকরা রেডিও-টিভিতে জনগণকে যেমনটা গিলিয়েছেন আর কী! আমাদের ফোর্সের সামনে ব্রিটিশরা দাঁড়াতেই পারবে না। আসুক না একবার, হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দেব।
লিওপোল্ড সাহেব হিসেবটা একটু ভুল কষেছিলেন। একটা নাম বোধহয় মাথায় রাখেননি। মার্গারেট থ্যাচার। তদানীন্তন কনজারভেটিভ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী, যিনি বাস্তবিকই লৌহমানবী, দ্য আয়রন লেডি। অসম্ভব বলে কোনও কিছু তাঁর অভিধানে নেই। যাদের সাম্রাজ্যে সূর্য কখনও অস্ত যেত না, সেই ব্রিটিশের অস্তমিত গরিমা ও আত্মাভিমানে এ হেন চোট তিনি সহ্য করবেন?
করেনওনি। সঙ্গে সঙ্গে রওনা দেয় ব্রিটিশ নৌবহর, সঙ্গে বাছাই ইনফ্যান্ট্রি ও বোমারু বিমান। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের সুচতুর কূটনৈতিক প্রক্রিয়া। আমেরিকা নিঃশর্তে ব্রিটেনের পাশে দাঁড়ায়, কার্যত গোটা ইউরোপও তা-ই। ফকল্যান্ডের দু’শো মাইল ব্যাসার্ধ এলাকাকে ওয়ার জোন ঘোষণা করে এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে দক্ষিণ আটলান্টিকে পুরোদস্তুর মার মার-কাট কাট সম্মুখসমরে নেমে পড়লেন মার্গারেট থ্যাচার।
ফকল্যান্ডে শুরু হল ব্রিটিশ সেনা অভিযান– অপারেশন কর্পোরেট। সার্বিক নেতৃত্বে, অ্যাডমিরাল স্যার জন ফিল্ডহাউস।
গোড়ায় ব্রিটিশ বাহিনীকে খানিক বেগ দিলেও আর্জেন্টিনা টিকতে পারেনি। সবচেয়ে বড় আঘাত আসে ২ মে রাতে, যখন আর্জেন্টিনীয় নেভির অন্যতম গর্ব তথা ভরসা ‘জেনারেল বেলগ্রানো’ নামক অতিকায় জাহাজটি ধ্বংস করে ডুবিয়ে দেয় ব্রিটিশরা, সলিলসমাধি সাড়ে তিনশো আর্জেন্তিনীয় নৌসেনার। ১৯৮২-র ২১ মে ব্রিটিশ ফোর্স ফকল্যান্ড তটে অবতরণ করে। সাবেকি যুদ্ধজাহাজ, গুটিকয় সাবমেরিন, ডেস্ট্রয়ার, ডজন ডজন ফাইটার প্লেন– একে একে সব খুইয়ে কোণঠাসা হয়ে ফকল্যান্ডের রাজধানী শহর পোর্ট স্ট্যানলি বাঁচাতে জান লড়িয়ে দেন আর্জেন্টিনার সেনানায়ক জেনারেল মারিও মেনেনডেজ। তুমুল টক্করে তারও পতন হয় এক মাসের মধ্যে। এ ক্ষেত্রে চরম প্রতিকূল আবহাওয়ায় ব্রিটিশদের স্পেশ্যাল এয়ার সার্ভিস (এসএএস), স্পেশ্যাল বোট সার্ভিস (এসবিএস)-এর মতো ঘাতকবাহিনী ছাড়াও কমান্ডো-প্যারাট্রুপারদের সঙ্গে আর্জেন্টিনীয় সেনার হিংস্র, হাতাহাতি লড়াইয়ের বহু নির্মম আখ্যান সে সময়ে প্রচারিত হয়েছিল।
১৪ জুন জেনারেল মেনেনডেজ অবশিষ্ট সেনাদের নিয়ে ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলেন। (উল্লেখ্য, ঠিক তার আগের দিন, ১৩ জুন স্পেনে শুরু হয়েছে বিরাশি ফুটবল বিশ্বকাপ, যাতে ট্রফির বিরাট দাবিদার আটাত্তরের কাপজয়ী আর্জেন্টিনা।) আর আড়াই মাসের দুনিয়া তোলপাড় করা সংঘাতে আনুষ্ঠানিক দাঁড়ি পড়ল আজ থেকে ঠিক চল্লিশ বছর আগে। ১৯৮২-র ২০ জুন আর্জেন্টিনীয় পতাকা নামিয়ে ফকল্যান্ডে ফের সগৌরবে উড়ল ইউনিয়ন জ্যাক।
থ্যাচারের ‘অপারেশন কর্পোরেট’ দুর্দান্ত সফল। তথ্য বলছে, আড়াই মাসের ফকল্যান্ড যুদ্ধে আড়াইশো ব্রিটিশ সেনার মৃত্যু হয়, আর্জেন্টিনার পক্ষে প্রাণহানি সাড়ে ছ’শো। এ ছাড়া বলি হয়েছেন কিছু সাধারণ দ্বীপবাসী। ব্রিটিশরা প্রায় বারো হাজার আর্জেন্টিনীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি করে, পরে অবশ্য সবাইকে মুক্তি দেয়।
আমরা তখন মাধ্যমিক দিয়েছি, বোধহয় রেজাল্ট বেরোব বেরোব করছে। ফকল্যান্ড যুদ্ধের খবর নিয়ে উদ্দীপনার শেষ নেই, সঙ্গে বিশ্বকাপ ফুটবল। চার বছর আগে, আটাত্তরের বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই ভোররাতে রেডিওয় নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে মারিও কেম্পেসের মারকাটারি খেলার রিলে ও আর্জেন্টিনার বিশ্বজয়ের স্মৃতি তো তখনও টাটকা! যুদ্ধে হেরে গেল, ওয়র্ল্ড কাপ থেকেও ফুটে গেল, ওদের এবার কী হবে?
বস্তুত আর্জেন্টিনীয় জনমানসে ফকল্যান্ডের পরাজয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সাংঘাতিক। বিরাশির বিশ্বকাপ থেকে সেকেন্ড রাউন্ডে আর্জেন্টিনা ছিটকে যাওয়ায় আপাদমস্তক ফুটবলপাগল রাষ্ট্রটিতে যেন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। লেঃ জেনারেল লিওপোল্ডকে মানুষ ক্ষমা করেনি, পরের বছরই ‘প্রবঞ্চনা’র শোধ তোলে। পরিণামে ১৯৮৩ সালে আর্জেন্টিনায় সামরিক শাসনের অবসান। অন্য দিকে ফকল্যান্ডের সাফল্যের দৌলতে ব্রিটিশ জাতীয়তাবোধ তথা থ্যাচারের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। ১৯৮৩-র ব্রিটিশ নির্বাচনে প্রতিপক্ষ লেবার পার্টিকে কার্যত ধুইয়ে-শুইয়ে দিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে ক্ষমতা ধরে রাখে থ্যাচারের কনজার্ভেটিভ।
কিন্তু ফকল্যান্ডের রেশ মেলায়নি। ব্রিটিশরা বরাবর আর্জেন্টিনার দুশমন, ফকল্যান্ডের পরে একেবারে সাপে-নেউলে। ছিয়াশির মেক্সিকো বিশ্বকাপের আসরে কোয়ার্টার ফাইনালে দুই চিরশত্রু মুখোমুখি হচ্ছে– এ খবর পাওয়ামাত্র তামাম বিশ্ববাসীর উত্তেজনার থার্মোমিটারে পারা উঠল চড়চড়িয়ে। ছিয়াশির বাইশ জুন মেক্সিকো সিটিতে ওই যুগান্তকারী ম্যাচটি দেখতে টিভির পর্দায় হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল তাবৎ পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ। এবং তারা এমন এক ঘটনার সাক্ষী, যার স্মৃতি কোনও দিন মোছার নয়।
ঈশ্বরের হাতের গোল। হ্যান্ড অব গড! যতদিন ফুটবল থাকবে, হ্যান্ড অব গড-ও থাকবে।
সেকেন্ড হাফে ছ’মিনিটের মাথায় আর্জেন্টিনার ক্যাপ্টেন দিয়োগো মারাদোনার করা গোলটি যে আসলে ওঁর ‘হাতের খেলা’, স্বয়ং মারাদোনা পরে তা স্বীকার করেন। যদিও সেদিন খেলার শেষে ওঁর ধোঁয়াশাভরা প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল, “ওই গোলটার পিছনে অর্ধেকটা মারাদোনার মাথা, অর্ধেকটা ঈশ্বরের হাত।”
সেই ইস্তক তার গায়ে হ্যান্ড অব গডের তকমা সেঁটে বসেছে। অনেক, অনেক বছর বাদে এক তথ্যচিত্রে ফুটবলের রাজপুত্র সত্যটা স্পষ্টাস্পষ্টি স্বীকার করেন, জানিয়ে দেন, ওটা ছিল ফকল্যান্ডের মধুর প্রতিশোধ। “সে সময় আমরা (আর্জেন্টিনাবাসী) বুঝতে পারিনি, আমাদের মিলিটারি ঠিক কী চাইছে, ওদের উদ্দেশ্যটা কী। ওরা শুধু বাগাড়ম্বর করছিল, ফকল্যান্ড যুদ্ধটা নাকি আমরা জিতছি। আসলে যুদ্ধটা তখন জিতছিল ইংল্যান্ড, ২০-০ গোলে।”– বিষাদগ্রস্ত হাসি ঠোঁটে ঝুলিয়ে রেখেছিলেন মারাদোনা, “মেক্সিকো সিটির ম্যাচটার আগে এমন পরিবেশ চারপাশে, যেন আমরা আর একটা যুদ্ধে নামছি, সেই ইংল্যান্ডেরই সঙ্গে। আমি জানতাম, গোলটা করেছে আমার হাত, তবে প্ল্যানমাফিক নয়, তালেগোলে হয়ে গেছে। লাইন্সম্যানও দেখতে পাননি যে, হাত দিয়ে গোল হয়েছে। রেফারি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, গোল।”
মারাদোনার অকপট স্বীকারোক্তি, “ওই মুহূর্তে খুব ভাল লেগেছিল। মনে হয়েছিল, ইংল্যান্ডের উপর একটা যা হোক বদলা তো নেওয়া গেল! ফকল্যান্ডের বদলা। টিমের অন্যরাও বুঝতে পারেনি, গোল হয়েছে। ওরা এসে আমার উপর লাফিয়ে পড়েনি। আমি মনে মনে শুধু ডাকছিলাম, ওরে, তোরা আয়, আয়, শিগগির আয়। আমাকে জড়িয়ে ধর। দেরি করলে রেফারির আবার সন্দেহ না হয়..”
ফুটবল ইতিহাসে চিরদিন খ্যাতি-কুখ্যতির শীর্ষে থাকবে মারাদোনার হ্যান্ড অব গড। যদিও মারাদোনা ইংল্যান্ড টিমের ভূয়সী প্রশংসাও করতে ভোলেননি, “অন্য টিম হলে অদ্দূর পৌঁছাতেই পারতাম না, আগেই মেরে শুইয়ে দিত। ফেয়ার প্লের জন্য ওদের কুর্নিশ।” এ-ও ভুললে চলবে না, হ্যান্ড অব গডের চার মিনিট বাদে মারাদোনা আর একটা গোল করেছিলেন, যা কি না শতাব্দীর সেরা গোল হিসেবে চিহ্নিত। দশ সেকেন্ড ধরে ওঁর ষাট গজের সেই অবিস্মরণীয় দৌড়, একের পর এক চার ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে শেষে গোলকিপার পিটার শিলটনকেও কোমড়ের মোচড়ে হার মানিয়ে নেটে বল! সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে একক কৃতিত্বে এমন দর্শনীয় ও নান্দনিক গোল বোধহয় আর হবে না।
২-০ এগিয়ে থাকা আর্জেন্টিনাকে শেষ প্রহরে একটু ঝটকা দেন গ্যারি লিনেকার। ওঁর গোলের সুবাদে ইংল্যান্ড ২-১ করতে পারে। তবে ওখানেই শেষ। মারাদোনার নেতৃত্বে শেষমেশ ছিয়াশির বিশ্বকাপ ওঠে আর্জেন্টিনার হাতে। ট্রফির উপর ফকল্যান্ডের ছায়া দেখে নিশ্চয় তৃপ্তির শ্বাস ছেড়েছিল আপামর আর্জেন্তিনাবাসী।
ফকল্যান্ড যুদ্ধের অবসান বিরাশির ২০ জুন, হ্যান্ড অব গড ছিয়াশির ২২ জুন। অর্থাৎ যথাক্রমে ঠিক চল্লিশ ও ছত্রিশ বছর আগে। এই উপলক্ষ্যে একটু ফিরে দেখা গেল।