বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে পারলো না নাইজেরিয়া দল। আর সেই কারনে ফুটবল মাঠেই দাঙ্গা করলো নাইজেরিয়ান দর্শকরা।এই দাঙ্গা চলার সময় একজনের মৃত্যু হয়, যদিও সেটা হার্ট এটাকের কারনে বলা হয়েছে। প্রথম পর্বে ঘানার মাটিতে নাইজেরিয়া ঘানার সাথে ০-০ ভাবে খেলা শেষ করেছিল। তাই নাইজেরিয়ান সমর্থকদের আশা ছিল ঘরের মাঠে তারা সহজেই জিতবে এবং কাতার বিশ্বকাপের মূলপর্বে যেতে পারবে। কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে শুরুতেই নাইজেরিয়ার গোলরক্ষক ফ্রান্সিস উজোহোর ভুলের কারণে টমাস পার্টির দেওয়া গোলে ঘানা এগিয়ে যায়। এরপর সারা মাঠ জুড়ে খেলেছিল নাইজেরিয়া। সুযোগ ও তৈরি করে অনেক। একসময় উইলিয়াম ট্রুস্ট-একং পেনাল্টি স্পট থেকে সমতা আনে।কিন্তু শেষ ফলাফল হয় ১-১।তাই এওয়ে গোলের সুবাদে ঘানা প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে পৌঁছে যায় কাতার বিশ্বকাপের মূলপর্বে। 

খেলাও চূড়ান্ত বাঁশি বাজার পরে স্টেডিয়ামের ভেতরে সমর্থকরা ভাংচুর শুরু করে দেয়। তারা ঘানা থেকে আসা সমর্থকদের আক্রমন করে। সমর্থকরা একসময় প্রেসিডেন্সিয়াল গেট ভেঙে ফেলে ও দুটি ডাগ আউট উল্টে দেয়।

নাইজেরিয়ান পুলিশকে টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ও লাঠি চালিয়ে সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে হয়। অন্যদিকে স্টেডিয়ামের বাইরে পার্ক করা গাড়ি ভাংচুর করা হয় এবং গাড়ির ভেতরে রাখা জিনিস পত্র লুঠ করে। স্টেডিয়ামের এক্সিট গেটের কাছে  পার্ক করা কিছু গাড়ির জানালা, উইং আয়না এবং লাইট ভেঙ্গে দেওয়া হয়। মাঠের বাইরে হামলার খবর বলতে গিয়ে  স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, কিছু ভক্তের মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। এছাড়াও যখন নাইজেরিয়া দলকে নিয়ে বাস বেরিয়ে যাচ্ছিল সেই সময় সেই বাসে ইট ছোড়া হয়। এতে আহত হন কিছু খেলোয়াড়।

সাংবাদিক উচে নুদুহ বলেছেন এই বিশৃঙ্খলাগুলির দায়ী একমাত্র নিরাপত্তা বাহিনী। নিরাপত্তা বাহিনী খেলার শুরুর আগে থেকে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করেছিল। যখন অনেক দর্শক ২৫ ডলার খরচ করে টিকিট কেটেও স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারে নি। নিরাপত্তা বাহিনী নিজেরাই বহু লোককে বিনা টিকিটে স্টেডিয়ামে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তাই উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল খেলা শুরুর অনেক আগে থেকেই।

এদিকে, ম্যাচে দায়িত্বরত একজন ডোপিং অফিসার খেলার শেষে সন্দেহভাজন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হবার ঘটনায় মারা যান। কিন্তু  সোশ্যাল মিডিয়াতে গুজবের তাকে সমর্থকরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। নাইজেরিয়া ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এনএফএফ) অনুসারে আবুজার একটি হাসপাতালে পৌঁছানোর পর এই জাম্বিয়ান কর্মকর্তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।