ভারতে এসে পড়ল মাঙ্কিপক্স। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে কেরলে আসা এক ব্যক্তির দেহে মাঙ্কিপক্সের সন্ধান মিলেছে। গত ১২ জুলাই তিনি কেরলে পৌঁছেছিলেন।


ন্যাশনাল ভাইরোলজি ইনস্টিটিউটের প্রধান প্রিয়া আব্রাহাম একটি নমুনা পরীক্ষা করে ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্সের উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন। কেরলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তি বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছেন। মাঙ্কিপক্সের মোকাবিলায় হু এবং আইসিএমআর-এর গাইডলাইন মেনে চলছে কেরল সরকার। এদিকে, মাঙ্রিপক্স নিয়ে যথেষ্ট নজরদারি রাখার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।


ভারতে মাঙ্কিপক্সের প্রথম রোগীর সন্ধান মিলতেই ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল (এনসিডিসি)-এর একটি বিশেষজ্ঞ দল কেরলে পৌঁছে গিয়েছে। বীণা জর্জ জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষজনকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন ওই ব্যক্তির বাবা, মা, একজন ট্যাক্সি ড্রাইভার, একজন অটো ড্রাইভার এবং কাছাকাছি আসনে বসা ১১ জন যাত্রী। আক্রান্ত ব্যক্তি ১২ জুলাই ত্রিবান্দাম বিমানবন্দরে নেমেছিলেন।


মাঙ্কিপক্স হল, একটি “ডাবল-স্ট্র্যান্ডেড ডিএনএ ভাইরাস” যা “পক্সভিরিডে”পরিবারের “অর্থোপক্সভাইরাস” গণের অন্তর্গত এবং পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার কিছু অংশে সংক্রমিত বন্যপ্রাণী থেকে ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণত, ইঁদুর এবং কাঠবিড়ালির মতো কোনও সংক্রমিত প্রাণীর কামড়ে বা তার রক্ত, দেহরস, চামড়া, ক্ষত স্পর্শ করলে মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হতে পারে। বর্তমানে এই ধারণাও রয়েছে যে এটি সংক্রমিত প্রাণী থেকে রান্না করা মাংস খাওয়ার মাধ্যমেও মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে।