OLY  শব্দটির সাথে একটু পরিচিত হওয়া যাক। ছোটবেলা থেকে পড়াশুনা  করে কেউ শুধু মাধ্যমিক পাশ করেন ,কেউ উচ্চমাধ্যমিক ,কিংবা গ্র্যাজুয়েট। তারপর মাস্টার ডিগ্রি। এর বেশি এগোতে গেলে সেটি হয় আমাদের সর্বোচ্চ সীমা, পিএইচডি।সেক্ষেত্রে আপনি বা আমি যে কেউ কোনও  বিষয়ে মৌলিক গবেষণা করে নামের আগে ডক্টর উপাধি বসাতে পারি। পিএইচডি একটা বিষয়ে হতে পারে, আবার অনেকগুলি বিষয়েও  হতে পারে। ভারতের বাবাসাহেব আম্বেদকর ছিলেন প্রথম পিএইচডি .আর আমেরিকার মাইকেল নিকলসন হলেন একজন ব্যক্তি, যিনি সর্বাধিক ৩০টি বিষয়ে  পিএইচডি করেছেন।একটা জিনিস বোঝা যায়,  পিএইচডি করতে বিস্তর পড়াশুনার প্রয়োজন হয়। কিন্তু যে বিষয়টির জন্য  বলে এই প্রসঙ্গের উত্থাপনা,তাতে যে কেউ  কোনও বইপত্র না ছুঁয়েও  পিএইচডি  সমতুল্য ডিগ্রি পেতে পারেন। এই ডিগ্রি হল ওই উপরে লেখা তিন অক্ষরের শব্দ  OLY ।

রহস্য না করে ব্যাপারটা খুলে বলা যাক। ২০১৭ সালের নভেম্বরে  অষ্টম আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি(IOC), আন্তর্জাতিক ক্রীড়াবিদ ফোরাম, বিশ্ব অলিম্পিয়ান অ্যাসোসিয়েশন একসাথে OLY ঘোষণা করেছে। কিন্তু  এই কথার অর্থ কি ? আসলে , OLY হলো একটা পরিচিতি। যিনি অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছেন, কেবলমাত্র সেই মানুষটি তাঁর নামের শেষে OLY শব্দটি ব্যবহার করতে পারেন। চলুন, দেখে নেওয়া যাক, World Olympians Association এর প্রেসিডেন্ট জোয়েল বুজো ঠিক কি বলছেন — “It’s time to recognize becoming an Olympian is like becoming a PhD. It takes 10 years. You learn about perseverance, you learn about equity, fair play. You are an example of this for society at large.

অর্থাৎ,  অলিম্পিয়ান হিসাবে আপনি সমাজের কাছে একটি উদাহরণ। একজন PHD থেকেও হয়তো বেশি পরিশ্রম করে OLY ডিগ্রিটি পেতে হয়।অধ্যবসায় লাগে ,ধৈর্য্য লাগে আর জিততে জানতে হয়। তবেই কেউ  OLY হতে পারেন ।