সঞ্জয় গুপ্ত

২০১৭ সালের ৮ সেপ্টেম্বরের সকাল। বরুণচন্দ্র ঠাকুর তাঁর সাত বছরের ছেলে প্রদ্যুম্ন ও এগারো বছরের মেয়ে বিধিকে নিয়ে গাড়ি করে রওনা দিয়েছেন গুরুগ্রামের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে। স্কুলের গেটে বাচ্চা দু’টিকে নামিয়ে দিয়েছেন ৭.৫৫ মিনিটে। আর ঠিক ৮.০৮ মিনিটে একটি ছাত্রের চিৎকারে কেঁপে উঠলো পুরো স্কুল চত্বর।

কে যেন প্রদ্যুম্নকে গলার কাছে দু’টি আঘাত করে ফেলে রেখেছে বাথরুমের ঠিক বাইরে। বাথরুমটি নিচতলায়। স্কুলের কর্মীরা ছুটে এলেন। দৌড়ে এলো একটি স্কুলবাসের কন্ডাক্টর অশোক কুমার। ধরাধরি করে স্কুলেরই এক শিক্ষকের গাড়ি করে ছেলেটিকে নিয়ে যাওয়া হল কাছেই বাদশাপুরের একটি হাসপাতালে। সেখান থেকে গুরুগ্রামের আর্টেমিস হাসপাতাল। ডাক্তারেরা বললেন, বাচ্চাটি মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরে প্রদ্যুম্নের বাবা বরুণ ও মা সুষমা ঠাকুর বললেন, স্কুল থেকে তাঁদের খবর দেওয়া হয়েছিল সকাল ৮.১৫ মিনিটে, তবে আঘাতের ধরণ বলা হয়নি। তাঁরা সোজা হাসপাতালে চলে এসেছিলেন। পুলিশকে স্কুল কর্তৃপক্ষ খবর দেননি। তাঁরাই খবর দেন।

হরিয়ানার পুলিশ স্কুলে পৌঁছলো ১১.৩০ মিনিটে।

পুলিশের মুখপাত্র সাংবাদিকদের জানালেন, প্রদ্যুম্ন যেখানে পড়ে ছিল তার পাশেই রক্তমাখা একটি ছুরি পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের ফরেনসিক দল সেই জায়গার হাতের ছাপ, ছবি ইত্যাদি সংগ্রহ করেছে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, প্রদ্যুম্ন হামাগুড়ি দিয়ে বাথরুম থেকে বার হবার চেষ্টা করছিল, তার গলা থেকে রক্ত ঝরছিল, টয়লেটের বাইরে সামনের অংশে সে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যায়।

জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য পুলিশ দশজনকে আটক করে। তাদের নজরে কন্ডাক্টর অশোক কুমারের শার্টে লেগে থাকা রক্তের দাগ। একটি মোবাইল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অশোক কুমারকে স্কুলের লোকজন অনুরোধ করছেন প্রদ্যুম্নকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে। বেলা বারোটা নাগাদ, অর্থাৎ তদন্ত শুরু করার আধ ঘণ্টার মধ্যেই হরিয়ানা পুলিশ সেই বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে গ্রেফতার করল খুনি সন্দেহে।

হরিয়ানা পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার সুমিত কুমার রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের খুনের ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েও দিলেন। পুলিশের ব্যাখ্যা এরকম—
…অশোক কুমার সেদিন সকাল ৭.৫০ মিনিটে স্কুলবাস নিয়ে স্কুলে পৌঁছয়। নীচের তলার টয়লেটটি ছাত্র ও কর্মীরাও ব্যবহার করে থাকে। অশোক কুমার গাড়ির টুলকিট অর্থাৎ ছোটখাটো মেরামত করার যন্ত্রপাতি যে ব্যাগে থাকে— সেখান থেকে একটি ছুরি নিয়ে বাথরুমে যায়। সেটিকে হয়তো পরিষ্কার করে বাড়িতে নিয়ে যাবে ভেবেছিল। এমন সময় প্রদ্যুম্ন টয়লেটে ঢুকতে যায়। অশোক বাচ্চাটিকে যৌন নির্যাতন করার চেষ্টা করে। বাচ্চাটি বাধা দেয়। অশোক তখন ছুরি দিয়ে বাচ্চাটিকে আঘাত করে। ছুরিটি ওখানেই পড়ে যায়।

দু’দিন পর, পুলিশ আবার জানালো, অশোক তাদের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে, সে-ই খুন করেছে। পুলিশের বক্তব্য অবশ্য প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের মা-বাবারই বিশ্বাস হয়নি। সুষমা ঠাকুর পরে বলেছিলেন, তাঁর মনে হয়েছে, কন্ডাক্টরকে ফাঁসানো হচ্ছিল। রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের সেই বাসটির ড্রাইভার সৌরভ রাঘভ (যে বাসটির কন্ডাক্টর অশোক কুমার), পরে বলেছিলেন, গুরুগ্রাম পুলিশ তাঁকে জবরদস্তি করে বলিয়েছিল যে ছুরি ওই বাসের টুলকিটের মধ্যে ছিল। এছাড়া, প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের পোস্টমর্টেম রিপোর্টেও যৌন নির্যাতনের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। স্কুলের একজন মালি, হরপাল সিং বলেছিলেন, অশোক কুমারের পোশাকে তিনি প্রথমে কোনও রক্তের দাগ দেখেননি। তাঁর আরও অভিযোগ— পুলিশ তাঁকেও প্রবল পিটিয়েছিল, খুনে জড়িত আছেন বলে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য। আদালতে এবং বাইরে অশোক কুমার বললেন, পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন মার খাওয়ার হাত থেকে বাঁচার জন্যে। চড় থাপ্পড়, ইলেক্ট্রিক শক তো ছিলই, পুলিশ দুদিন খেতে অবধি দেয়নি।

তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে দিতে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করলেন প্রদ্যুম্নের বাবা। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রীও বললেন, প্রদ্যুম্নের বাবার ইচ্ছে অনুযায়ী মামলা তুলে দেওয়া হল সিবিআইয়ের হাতে। কিন্তু বরুণ ঠাকুর পিটিশনে বললেন, তাঁদের কাছে খবর আছে যে এই খুনে হয়তো উঁচু ক্লাসের ছাত্ররাও জড়িয়ে থাকতে পারে। বড় ছাত্ররা নাকি জুনিয়র ছাত্রদের সামনে মদ খেয়েছিল আর খবরটি পাঁচকান করলে খুব খারাপ হবে বলে হুমকি দিয়েছিল।
সিবিআইয়ের ফরেনসিক টিম নতুন করে জায়গাটি দেখলো। তারা একটি নতুন ছুরি আবিষ্কার করেছিল, যেটি নাকি একটি বাথরুমে লুকনো অবস্থায় ছিল। প্রদ্যুম্নের পোশাকে লেগে থাকা কিছু রক্ত নাকি প্রদ্যুম্নের নয়, এমনকি অশোক কুমারেরও নয়। সেটি তৃতীয় কোনও ব্যক্তির। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেল বেশ কয়েকজন ছাত্রের চেহারা। স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছাত্রদের পরিচয় জেনে সবার সঙ্গে আলাদা করে কথা বলল সিবিআই। এছাড়া,মামলার কাগজপত্রের সঙ্গে হরিয়ানা পুলিশের হেফাজতে থাকা লোকদেরও জিম্মায় নিল সিবিআই।

২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সিবিআই, খুনি সন্দেহে রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ষোলো বছরের একটি ছাত্রকে গ্রেফতার করে। এই ছাত্রটিকেই নাকি সবচেয়ে প্রথমে হত্যার জায়গায় দেখা গিয়েছিল। হরিয়ানা পুলিশ অবশ্য জানালো, তারাও এই ছেলেটির সঙ্গে কথা বলেছিল— কিন্তু ভাবেনি সে খুনি হতে পারে। ওই বছরেরই ২২ নভেম্বর অশোক কুমার জামিন পেলেন গুরুগ্রামের ডিস্ট্রিক কোর্ট থেকে। তারপর ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁকে সব অভিযোগ থেকে মুক্তি দিল স্পেশাল কোর্ট।

অশোক কুমারের গল্পটা আরও একটু বলে নেওয়া যাক। যেদিন হরিয়ানা পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে, সেদিন গুরুগ্রামের উকিলদের সংগঠন মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয় যে তারা কেউ কুমারের হয়ে মামলা লড়বে না। জামিন পাওয়ার পর অবশ্য সংগঠন তাদের এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। অশোক কুমারের পরিবার জানিয়েছিল, ব্যক্তিগত পরিচয় ইত্যাদির জোরে অনেক কষ্টে তাঁরা উকিল জোগাড় করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য উকিল সংগঠনকে তাদের অসন্তোষের কথা জানিয়েছিল।

অশোক কুমারের মুক্তির পর, হরিয়ানা পুলিশ একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলেছিল, তদন্তের স্বার্থে কুমারকে গ্রেফতার করা হলেও কোনও চার্জ ফ্রেম করা হয়নি। ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন অশোক কুমারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য হরিয়ানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়। কুমার অবশ্য ক্ষতিপুরণ খুবই কম বলে নিতে অস্বীকার করেন। তিনি পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করতে বেশি আগ্রহী ছিলেন। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে, সিবিআই হরিয়ানা পুলিশের চার অফিসারের বিরুদ্ধে তথ্য জাল, নির্যাতন, ষড়যন্ত্র করে অশোক কুমারকে ফাঁসাবার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে।

এবার ফিরে আসা যাক মূল গল্পে।

২০১৭ সালের সাত নভেম্বর ১৬ বছরের ছেলেটিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সে যেহেতু নাবালক , রাজ্যের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড সিবিআই জেরা করার অনুমতি দিয়েছিল। এই ছেলেটিকেই নাকি দেখা গিয়েছিল ওই খুনের সময় বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসতে। যে দোকান থেকে ছুরিটি কেনা হয়েছিল ছেলেটি সেই দোকানটি দেখিয়ে দিল। নিজের বাবা, নিরপেক্ষ সাক্ষী এবং জুভেনাইল বোর্ডের একজন অফিসারের সামনে সে খুন করেছে বলে স্বীকারোক্তি দেয়।

তবে এই খুনের উদ্দেশ্য ঠিক কী?

সিবিআই প্রশ্ন করায় ছেলেটি নাকি জানায় , তার পড়াশোনা খুব একটা ভালো হচ্ছিল না। প্রদ্যুম্ন যেদিন মারা যায় সেদিনও একটা পরীক্ষা ছিল কিন্তু সেটা দেওয়ার অবস্থায় সে ছিল না। পরে আরও তিনটে পরীক্ষা ছিল, তারপর ছিল পেরেন্ট-টিচার মিটিং। সিবিআইয়ের তদন্তকারীর মতে,ছেলেটি ভেবেছিল ভয়ঙ্কর কিছু একটা যদি ঘটানো যায়, তাহলে পরীক্ষা আর মিটিং দুটোই পিছিয়ে যাবে। সিবিআই প্রথমে ভেবেছিল যে মারার জন্য কোনও নির্দিষ্ট শিশুকে বেছে নেওয়া ছিল না। সেদিন যে কেউ মারা যেতে পারতো। কিন্তু পরে জুভেনাইল ডিপার্টমেন্টের লোকদের ছেলেটি বলে সে প্রদ্যুম্নকে আগে থেকেই চিনতো। একসঙ্গে গান শিখতো।

অভিযুক্ত ছেলেটির বাবা পাল্টা দাবি করেন, সিবিআই জোর করে তাঁর ছেলের স্বীকারোক্তি নিয়েছে। নাবালক অপরাধীদের সাবালক হিসেবে বিচার করতে হলে জুভেনাইল বোর্ডের অনুমতি চাই। প্রদ্যুম্নের পরিবার আবেদন করেছিল— অভিযুক্তকে যেন সাবালক হিসেবে ধরে নিয়ে বিচার করা হয়।

২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর, অভিযুক্ত ছেলেটির সব কিছু বিচার বিবেচনা করে জুভেনাইল বোর্ড তাকে সাবালক হিসেবে ধরে আদালতে মামলা চালাতে বলল। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্টে মামলা করলেন অভিযুক্ত ছেলেটির পরিবার। ২০১৮ সালের ১১ অক্টোবর হাইকোর্ট মামলাটির পুনর্বিবেচনা করার জন্যে বোর্ডের কাছে ফেরত পাঠালো। হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আর্জি জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

প্রদ্যুম্নের খুনের পর স্কুল কর্তৃপক্ষের উপর বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। অভিভাবকেরা থানায় অভিযোগ করেন। তদন্তে দেখা যায়, সীমানার দেওয়াল ভাঙা। সিসিটিভি কাজ করছে না। গাফিলতির অভিযোগে স্কুলের কয়েকজন কর্মচারীকে আটক করা হয়। এমনকি, হরিয়ানার একটি পুলিশ দল মুম্বই অবধি পৌঁছে যায় স্কুলের মালিকদের বিরূদ্ধে তদন্ত করতে।
স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা অগাস্টিন ও গ্রেস পিন্টো এবং তাদের ছেলে রিয়ান বম্বে হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করলে সেটি নাকচ হয়ে যায়। পরে অবশ্য পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা কোর্টে তাঁদের এবং স্কুলের উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের আগাম জামিনের আবেদন মঞ্জুর হয়। CBSE সুপ্রিম কোর্টকে জানায় যে ছাত্রদের নিরাপত্তার দিকটা দেখায় যথেষ্ট স্কুলের তরফে সত্যিই দুর্বলতা ছিল।

প্রদ্যুম্নের মৃত্যর পর হরিয়ানা সরকার নতুন কিছু আইন করেছে। স্কুলের ও বাসের সব কর্মীকে পুলিশ ভেরিফিকেশন করাতেই হবে। স্কুলের শিক্ষকদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে বাচ্চাদের মানসিক স্বাস্থ্য দেখার জন্য।
রায়ান স্কুলে এখন মেটাল ডিটেক্টর, মহিলা সিকিউরিটি রাখা হয়েছে। ক্লাস চলার সময়ে বাথরুম বন্ধ থাকে। সব সিসিটিভি কাজ করছে। ক্লাস চলাকালীন স্কুল সীমানায় অভিভাবকদের আসা বারণ।
প্রদ্যুম্ন খুনের ঘটনা নিয়ে নেটফ্লিক্স একটা ডকুমেন্টারি সিরিজ বানিয়েছিল । A Big Little Murder নামে। এটা দেখানো নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা অবধি হয়েছে। দিল্লি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছিল।
এবার আমরা দেখবো, অশোক কুমার কেমন আছেন?
তাঁর চাকরিটা চলে গিয়েছে। এতো মার খেয়েছেন যে পরিশ্রম করার ক্ষমতা কমে গিয়েছে। একটা কনস্ট্রাকশন সাইটে কাজ করে মাসে পাঁচ-ছয় হাজার টাকা রোজগার। তবে তিনটে বাচ্চা, স্ত্রী-কে নিয়ে পরিবারে খাবার খাওয়ার মুখ পাঁচটি।
কি বলেছেন প্রদ্যুম্নের বাবা বরুণ ঠাকুর?
তাঁর বক্তব্য, এই মুহূর্তে কেসটি ঘুরে বেড়াচ্ছে চারটি শহরে। দিল্লিতে সুপ্রিম কোর্টে , চন্ডীগড়ে পাঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাই কোর্টে, পঞ্চকুলায় স্পেশাল সিবিআই কোর্টে এবং গুরুগ্রামের জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে। এই কোর্ট থেকে সেই কোর্ট দৌড়তে দৌড়তে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন ঠিকই। তবে আশা, ছেলেকে ন্যায় বিচার পাইয়েই ছাড়বেন।

হরিয়ানা সরকার সিবিআইকে রাজ্য পুলিশের কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিচ্ছে না। সিবিআই স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্ত ছেলেটিকে জামিন দিয়েছে, পাঁচ বছর ধরে বন্দি ছিল বলে। তবে জুভেইনেল জাস্টিস বোর্ড সিদ্বান্ত দিয়েছে যে ছেলেটিকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে ধরে নিয়েই বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে।

গুরুগ্রামের স্কুলে সাড়াজাগানো এই খুনের ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি।

অলংকরণ- রাতুল চন্দরায়