১। আল বায়েত স্টেডিয়াম

অ্যাসপায়ার জোন ফাউন্ডেশন  স্টেডিয়ামটি তৈরি করেছে।৬০০০০ দর্শক বসতে পারবেন। পুরো স্টেডিয়াম  যেন একটি বিশালাকার তাঁবু।  স্টেডিয়ামটির নামকরণ হয়েছে    বায়ত আল শা’আরের নামে।আল খোর শহরে অবস্থিত। 
যে ম্যাচগুলি হবে -প্রথম খেলা (উদ্বোধনী অনুষ্ঠান)এবং সেমিফাইনাল পর্যন্ত সমস্ত ম্যাচ।

২। আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়াম

স্টেডিয়ামটি দোহার ঠিক বাইরে আল-রাইয়ানে অবস্থিত। স্টেডিয়ামটি কাতারের সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।এখানে দর্শক আসন ৪০০০০। বিশ্বকাপের পরে স্টেডিয়ামে  ২০,০০০টি আসনে কমিয়ে দেওয়া হবে।সরিয়ে দেওয়া আসনগুলি বিদেশে ফুটবল উন্নয়ন প্রকল্পগুলিতে দেওয়ার কথা।
যে ম্যাচগুলি হবে -গ্রুপ ম্যাচ, রাউন্ড অফ ১৬।
দোহা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে আল ওয়াকরাহতে অবস্থিত। স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতা ৪০০০০। এটি একটি বিস্তৃত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের অংশ যেখানে সাইকেল চালানো, ঘোড়ার পথ, দোকান, রেস্তোরাঁ ও স্পোর্টস ক্লাব রয়েছে। ফিফা বিশ্বকাপের পর, স্টেডিয়ামের দর্শক ক্ষমতা ২০০০০ এসে দাঁড়াবে। বাকি ২০০০০ আসন উন্নতশীল দেশগুলিকে দান করা হবে। 
যে ম্যাচগুলি হবে -গ্রুপ ম্যাচ, রাউন্ড অফ ১৬।

৪। খলিফা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম

১৯৭৬ সালে স্টেডিয়ামটি তৈরি হয়েছিল।কাতারের রাজধানী দোহাতে  অবস্থিত  স্টেডিয়ামটিকে নতুন করে বিন্যাস করা হয়েছে।দর্শক আসন – ৪০০০০। ২০০৬ সালে কাতার এশিয়ান গেমস এই স্টেডিয়ামেই  হয়েছিল।স্টেডিয়ামটি একটি বিরাট জায়গা নিয়ে তৈরি। পুরো এলাকাটি একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স, যেখানে রয়েছে অ্যাস্পায়ার একাডেমি ফর স্পোর্টস এক্সেলেন্স , হামাদ অ্যাকুয়াটিক সেন্টার, অ্যাস্পেটার স্পোর্টস মেডিসিন হাসপাতাল ও অন্যান্য খেলার জায়গা ।
যে ম্যাচগুলি হবে – গ্রুপ অফ ১৬ এর সাথে প্রাথমিক ম্যাচ ও তৃতীয় স্থানের খেলার জন্য প্লে অফ।

৫। কাতার ফাউন্ডেশন স্টেডিয়াম

এই নতুন এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামটি কাতারের গ্লোবাল সেন্টার অফ এক্সেলেন্স, ও  বেশ কয়েকটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মাঝখানে অবস্থিত।স্টেডিয়ামটিতে ৪০০০০ দর্শক বসতে পারে এবং এই স্টেডিয়ামটি কারিগরের নিপুন হাতে কাটা একটি বিরাট  হীরার মতো। যে কোনও যানবাহন বা মেট্রোর মাধ্যমে ফুটবল ভক্তরা সহজে এই স্টেডিয়ামে পৌঁছতে পারবেন । বিশ্বকাপের পর, স্টেডিয়ামটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাথলেটিক দলগুলির ব্যবহারের জন্য ২৫০০০ আসন ধরে রাখবে।আল রাইয়ান শহরে অবস্থিত।

৬ । লুসাইল স্টেডিয়াম

নতুন এই লুসাইল স্টেডিয়ামটি কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম শ্রেষ্ট।স্টেডিয়ামটিতে ২০২২ সালের টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে ।স্টেডিয়াম লুসাইল শহরে অবস্থিত।দর্শক সংখ্যা -৮০০০০।
যে ম্যাচগুলি হবে – গ্রুপ ম্যাচ এবং ফাইনাল এখানে খেলা হবে।

৭।রাস আবু আবউদ স্টেডিয়াম

রাস আবু আবউদ স্টেডিয়াম প্রকল্পটি ক্রীড়া স্টেডিয়াম নির্মাণের জগতে একটি অগ্রণী প্রকল্প। শিপিং কন্টেনার থেকে তৈরি স্টেডিয়ামটি সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হবে এবং নির্মাণে যে উপকরণগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল তা পুনরায় ব্যবহার করা হবে।স্টেডিয়ামটি দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কয়েক মিনিট দূরে উপসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত। দর্শক সংখ্যা – ৪০০০০
যে ম্যাচগুলি হবে  – গ্রুপ ম্যাচ, রাউন্ড অফ ১৬।

৮। আল থুমামা স্টেডিয়াম

 স্টেডিয়ামটি একটি স্বতন্ত্র আরব স্থাপত্যের নিদর্শন।এটি আরব বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী কাহফিয়া (এক ধরনের টুপি) মতো সাজানো হয়েছে ।এটি আরব সভ্যতার গভীরতা এবং আরব দেশগুলির অন্তর্নিহিত সংস্কৃতি ও উত্তরাধিকারকে প্রকাশ করছে । স্টেডিয়ামটি দোহার হামাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কয়েক মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত।  অন্তত ৪০০০০ আসনের ধারণক্ষমতা রয়েছে যা টুর্নামেন্টের পরে ২০০০০-এ কমে যাবে ।
যে ম্যাচগুলি হবে – ১৬ রাউন্ড এবং কোয়াটার ফাইনাল সহ গ্রুপ ম্যাচ৷