সঞ্জয় গুপ্ত

কী ভাবে খুন জিগিশা

“পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ব্রেকফাস্ট করতে পৌঁছে যাবো।” ২০০৯ সালের ১৮ মার্চ খুব সকালে মাকে ফোন করে বলেছিল মেয়েটি।

তারপর অনেকক্ষণ কেটে গেছে। মেয়ে তো এসে পৌঁছল না। অপেক্ষা করতে করতে , উদ্বিগ্ন মা গিয়ে পৌঁছলেন দিল্লির বসন্ত বিহার পুলিশ স্টেশনে। পুলিশ প্রথমে কোনও এফআইআর নিতে রাজি হল না। সাধারণ কিংবা মধ্যবিত্ত নাগরিকদের অনেকের সঙ্গেই, অধিকাংশ পুলিশ স্টেশনে এরকমই ব্যবহার সাধারণত হয়ে থাকে।

তবে সবিতা ঘোষের এক আত্মীয় চিনতেন সেই সময়ের লোকসভার স্পিকার সোমনাথ চ্যাটার্জিকে। সোমনাথ চ্যাটার্জির হস্তক্ষেপে একটা মিসিং কেস রুজু হলো বসন্তকুঞ্জ পুলিশ স্টেশনে। ততক্ষণে অবশ্য অনেক সময় পেরিয়ে গিয়েছে।

কী হয়েছিল এই সময়টুকুর মধ্যে?

ভোর সাড়ে চারটেয়, রাতের ডিউটি শেষ করে নয়ডার Hewitt Associates-এর অপারেশন ম্যানেজার জিগিশা ঘোষ বাড়ি ফিরছিলেন অফিসের গাড়ি করে। কেন্দ্রীয় পূর্ত দপ্তরের ( CPWD ) কলোনি , বসন্ত বিহারে , বাড়ির সামনের রাস্তায় নেমে, এক সহকর্মীর সঙ্গে কথা বলছেন অফিসের কোনও ব্যাপার নিয়ে। একতলার ফ্ল্যাটে সিগন্যাল ভালো আসে না।

ঠিক এমন সময়েই, হরিয়ানায় রেজিষ্টার করানো সিলভার কালারের সেন্ত্রো গাড়িতে চড়ে আসতে থাকা তিনজন লোক তাঁকে দেখতে পেলো। রাতে কোথাও পার্টি করে এরা প্রত্যেকেই মদে চুর হয়ে আছে। একটা ঠিকানা খোঁজার নামে তাদের একজন কথা বলতে এগিয়ে এলো। আর ওই সামান্য অন্যমনস্কতার সুযোগে বাকিরা মুখ চেপে, তাদের গাড়িতে জিগিশা ঘোষকে উঠিয়ে নিলো জোর করে।

গাড়িতে উঠিয়ে সবচেয়ে প্রথমে তারা ছিনিয়ে নিয়েছে গলায় থাকা সোনার চেন, দু’টো মোবাইল ফোন আর ব্যাঙ্কের ডেবিট আর ক্রেডিট কার্ড । তারপর জোর করে জেনে নিয়েছে কার্ডগুলির পিন নম্বর। তারপর স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাটিয়ালার মাহিপালপুর (mahipalpur ) এটিএম কাউন্টারের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে উঠিয়ে নিয়েছে বিশ হাজার টাকা।

ঘন্টা খানেক এরকম ভাবেই চলল। তারপর ওই চারটি লোকের মধ্যে নেতা গোছের একজন বলল— মেয়েটি আমাদের চেহারা চিনে ফেলেছে। একে আর বাঁচিয়ে রাখা যায় না। মেয়েটির সঙ্গে তাঁর ব্যাগ, দু’টি মোবাইল ফোন তারা ফেলে রেখে গেলো সুরজকুন্ড ফরিদাবাদের রাস্তায়। ফেরার রাস্তায় সাকেতের কাছে এসবিআই-এর এটিএম থেকে তারা তুলে নিল আরও পাঁচ হাজার টাকা। এরপর ওই চারজন দিল্লির সরোজিনী নগর মার্কেটে গেল। এটিএম থেকে তোলা টাকায় দামি ঘড়ি, জুতো ইত্যাদি কিনলো। পয়সায় না কুলানোয় ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে দোকানের বিল মিটিয়ে দিল একজন। ফরিদাবাদ শহরের সুরজকুন্ডের রাস্তার পাশ থেকে জিগিশার মৃতদেহ উদ্ধার হলো দু’দিন পর। কিন্তু কারা তাঁকে মেরেছে সেটা অধরাই রইল।

তাঁর মেয়ের সঙ্গে ঠিক কী হয়েছিল, জানার চেষ্টা করেছিলেন সবিতা ঘোষ। মেয়ের ব্যাঙ্কের অনলাইন পাসওয়ার্ড তাঁর জানা ছিল। সেটা দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলে দেখলেন, মেয়ে নিরুদ্দেশ হওয়ার পর দেড় লাখ টাকা সেই অ্যাকাউন্ট থেকে খরচ হয়ে গেছে।

দিল্লির মুনিরকায় ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের কাছে গিয়ে প্রচুর কাকুতিমিনতি করার পর তিনি জানালেন, কিছু ঠিকানা থেকে জিগিশার ডেবিট কার্ডটি ব্যাবহার করা হয়েছে। সেই ঠিকানা ধরে, মা আর বাবা গিয়ে পৌঁছলেন সরোজিনী নগরের কিছু দোকানে।

ডেবিট কার্ড ব্যবহারের স্লিপগুলি দেখার পরেই সবিতা দেবী নিঃসন্দেহ হয়ে গেলেন যে ওই সইগুলি তাঁর মেয়ের নয়। দোকানদারও বলল, তিনজন লোক এসেছিল। কোনও মেয়ে তাদের সঙ্গে ছিল না।

এই সব সংবাদ সংগ্রহ করে সবিতা এবং তাঁর স্বামী গেলেন বসন্তকুঞ্জ পুলিশ স্টেশনে। পুলিশ তারপর শুরু করলো ওই এলাকার, দোকানের সিসিটিভির ফুটেজ দেখা।

জিগিশার আগে খুন হয়েছিলেন সৌম্যা

জিগিশা ঘোষের হত্যার কয়েকমাস আগে আরও একটি খুনের খবর সংবাদমাধ্যমের শিরোনাম হয়েছিল। ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, ২৫ বছর বয়সি সৌম্যা বিশ্বনাথন রাত তিনটে নাগাদ, দিল্লির বসন্ত কুঞ্জে বাড়ি ফিরছিলেন। “হেডলাইনস টুডে” নামের সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন। সেদিন রাতে চারজন অপরাধী তাঁকে একলা গাড়ি চালিয়ে আসতে দেখে। তারা তাদের গাড়িতে করে সৌম্যার গাড়িটিকে তাড়া করে এবং সেটি আটকানোর চেষ্টা করে। না থামায়, একজন দেশি পিস্তল দিয়ে গুলি চালায়। গুলি সৌম্যার মাথায় লাগে। মৃত্যু হয় সঙ্গে সঙ্গেই। গাড়িটি গিয়ে ধাক্কা খায় দিল্লির নেলসন ম্যান্ডেলা মার্গের একটি ডিভাইডারে।

রাত ৩.৪৫ নাগাদ গাড়িটির হেডলাইট জ্বলছে আর ইঞ্জিন চলছে দেখে কাছের একটি রেস্টুরেন্টের কর্মী কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে এসে সৌম্যার দেহ দেখতে পায়। ওই পথে চলতি কিছু গাড়ি থামিয়ে সে ঘটনাটি জানায়। পুলিশ এসে সৌম্যা বিশ্বনাথনকে এইমস হাসপাতালে নিয়ে যায়, যেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। সৌম্যার ফোনে শেষ কল তাঁর বাবাকে করা, রাত ৩.১৫ মিনিটে। তার আধ ঘণ্টার মধ্যেই সে মারা গিয়েছে। গাড়ির ভেতরেই টাকা ভরা ব্যাগ আর মোবাইল ফোন পাওয়া গেলো। পরে তদন্ত করার সময় জানা গিয়েছিল, খুনিরা গুলি চালানোর মিনিট কুড়ি পর আবার ফিরে এসেছিল ওই জায়গায়। কিন্তু ততক্ষণে ভিড় জমে গেছে দেখে তারা চলে যায়।

এই মৃত্যু রহস্যের তদন্ত খুব বেশি এগোচ্ছিল না। কারণ, একটি চলতি গাড়ি থেকে ছুড়ে দেওয়া গুলিতে মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে, এর বাইরে পুলিশের কাছে আর কোনও সূত্র ছিল না।

তদন্তে নয়া মোড়

সুরজ কুন্ড এলাকা থেকে জিগিশা ঘোষের মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার তিন-চারদিনের মধ্যেই অপরাধীদের ধরে ফেলে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল— একজন অপরাধীর বাঁ হাতে একটি ট্যাটু রয়েছে। আরেকজন টুপি পরা অপরাধী হাতে একটি ওয়ারলেস সেট নিয়ে ঘুরছে। পরে অবশ্য জানা গিয়েছিল, সেটি ছিল চোরাই। একটি পুলিশ স্টেশন থেকেই চুরি করা।
যে লোকটির বাঁ হাতে ট্যাটু করা ছিল, তার চেহারা মোটামুটি পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছিল। বেশ শক্তসমর্থ চেহারা। পুলিশ আশপাশের সমস্ত জিমগুলিতে লোকটির ছবি নিয়ে দেখাচ্ছিল।
মাসুদপুর বলে একটি জায়গায় একজন সন্দেহভাজন লোকটিকে বলজিত মালিক বলে সনাক্ত করে। মালিককে ধরার পর রবি কাপুর এবং অমিত শুক্লাকে গ্রেফতার করা হয়। মালিকের নাম তার বাঁ হাতে ট্যাটু করা ছিল। আর কাপুর ঘুরে বেড়াত ওয়ারলেস সেট নিয়ে।
রবি কাপুরকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে সনাক্ত করে একজন বিট কনস্টেবল। রবি কাপুর ওদিকে আবার পুলিশ ইনফরমার হিসেবে কাজ করতো। ২০০৯ সালের ৪ মার্চ তারিখে তাকে গ্রেফতার করা হয়। খুনে ব্যবহৃত ওয়াগনার গাড়িটি থেকে কিছু নকল আইডেন্টিটি কার্ড, পুলিশ ইউনিফর্ম উদ্ধার হয়।
ওই জিজ্ঞাসাবাদের সময় আর একটি আশ্চর্যজনক সত্যি উঠে আসে। রবি কাপুর স্বীকার করে, তারাই কয়েকমাস আগে আরও একজন মেয়েকে মেরেছিল নেলসন ম্যান্ডেলা মার্গে। সে জানায়, অজয় কুমার আর অজয় শেঠী সেই অপরাধে শামিল ছিল।
এই কেসের তদন্ত করতে, মোট ২৪টি পুলিশ টিম তৈরি করা হয়েছিল। প্রমাণ হিসেবে সবকিছু খুঁটিয়ে দেখা হয়েছিল। চলতি গাড়ি থেকে গুলি ছুড়লে, সেই গুলির যাত্রাপথ কি হতে পারে, এই সব কিছু সুন্দর করে গুছিয়ে আদালতে প্রমাণ হিসেবে পেশ করা হয়েছিল।

জিগিশা খুনের বিচার

দুটো খুনের মামলার বিচার শুরু হলো আলাদা ভাবে। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে সি জিএম কোর্ট জিগিশা ঘোষ হত্যা মামলার সাজা শোনালো।

অ্যাডিশনাল সেশন জাজ সন্দীপ যাদব সাজা শোনানোর আগে, অপরাধীদের জেলে থাকার সময় আচার ব্যবহারের রিপোর্ট চেয়েছিলেন জেল কর্তৃপক্ষের কাছে। রায় দিতে গিয়ে জানালেন, তাঁর মতে, রবি কাপুর এবং অমিত শুক্লার কারাগারে থেকে শুধরে যাওয়ার কোন আশা নেই। কারাগারের থেকে আসা রিপোর্টে দেখা গেছে, জেলে থাকাকালীন নিয়ম নীতি ভাঙার জন্য রবি কাপুর অন্তত পঞ্চাশ বার সাজা পেয়েছে। অন্যরা জেলে থেকে মোবাইল দিয়ে টাকা তোলার জন্য হুমকি দিয়েছে। এই ব্যাপারে পুলিশ অন্য মামলা রুজু করেছে। এদের জন্য তাই তিনি মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছেন। তবে বলজিতের ব্যাপারে তিনি আশাবাদী, তাই তাকে জীবনভর কারাবাসের সাজা শোনাচ্ছেন। এছাড়াও সব মিলিয়ে নয় লক্ষ টাকার জরিমানা বসালেন, যার থেকে ছয় লাখ টাকা জিগিশার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই টাকাটি যথেষ্ট নয় বলে, তিনি লিগ্যাল এড দফতরকে কত টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়া যায়, সেটা বিচার করে দেখতে বললেন।

২০১৮ সালে দিল্লি হাইকোর্ট অবশ্য দু’জনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বদলে দিলো। ৬৫ বছরের সবিতা দেবী, জিগিশা ঘোষের মা, হাইকোর্টের রায়ে মোটেও সন্তুষ্ট হন নি। তিনি বলেছিলেন, এরা হার্ডকোর অপরাধী। কোনও মায়া মমতা, লজ্জা, অপরাধ বোধ এদের মধ্যে নেই।

সৌম্যা হত্যায় চলল বিচার

“তারিখ পে তারিখ”, একটা খুব বিখ্যাত ডায়লগ ছিল একটি সিনেমায়।
সৌম্যা বিশ্বনাথন কেসের সময় সারণী ছিল এই রকম
—২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর , সৌমার হত্যা। পুলিশ জানালো, ডাকাতি করার উদ্দেশ্য ছিল।
—২০০৯ সালের মার্চ মাসে, জিগিশা ঘোষের হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র পুলিশ উদ্ধার করলো।
—২০০৯ সালের ২৮ মার্চ , রবি কাপুর, অমিত শুক্লা, অজয় কুমার এবং অজয় শেঠী গ্রেফতার হলো খুনের দায়ে।
২০০৯ সালের ২২ জুন প্রথম চার্জশিট দাখিল হলো। ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি, আই পি সি র ধারা অনুযায়ী চার্জ ফ্রেম করা হল।

ওই বছরের ২৩ এপ্রিল, বিচার প্রক্রিয়া শুরু হলো। সরকারি তরফে প্রমাণের নথিপত্র দেওয়া শুরু হলো।
২০১১ সালের ৯ মে অপরাধীদের বিরুদ্ধে MCOCA-র আওতায় চার্জ দেওয়া হলো।
এর মধ্যে, একবার দিল্লি হাইকোর্ট ২০১৮ সালের জুন মাসে রবি কাপুরকে প্যারোলে তিনমাসের জন্য মুক্তি দেওয়ার আদেশ দিয়েছিল, চিকিৎসা করানো এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য। দিল্লি সরকার এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের এই প্যারোলে মুক্তির আদেশ বাতিল করে দেয়। ২০২০ সালেও একবার ফের প্যারোলের আপিল করে রবি কাপুর। সেবার অবশ্য হাইকোর্টের নির্দেশে খারিজ হয়ে যায় আবেদন।
২০১৯ সালের ফেব্রয়ারিতে বলজিত মালিক নামের, এই কেসের একজন অপরাধী দিল্লি হাইকোর্টে বিচার তাড়াতাড়ি করার আবেদন করে। মোদ্দা কারণ ছিল, MCOCA ধারায় বন্দি হওয়ার ফলে, রেগুলার বেল মেলেনি অ্যারেস্ট হওয়ার পর থেকে।

সৌম্যার বাবা এবং মা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীয়ালের সঙ্গে দেখা করলেন, মামলা তাড়াতাড়ি শেষ করার জন্য।
২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দিল্লি হাইকোর্ট , ট্রায়াল কোর্টকে নির্দেশ দিলো, সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এই মামলার শুনানি করতে। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখা ভালো, ট্রায়াল কোর্ট দেরি হওয়ার কারণ হিসেবে হাইকোর্টকে জানিয়েছিল, সরকারি পক্ষের সাক্ষীরা আদালতে শুনানির সময় গরহাজির থাকে আর সরকারি উকিল নিযুক্ত হতে দেরি হওয়ায় ট্রায়াল সময়মতো শেষ হতে পারেনি।
২৫ নভেম্বর ২০২৩ আদালতের আদেশ বের হলো। অ্যাডিশনাল সেশন জাজ রবীন্দ্রকুমার পাণ্ডের আদেশে, রবি কাপুর, অমিত শুক্লা, বলজিত মালিক এবং অজয় কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হলো। বিচারে প্রমাণিত হয়েছিল ২০০২ থেকে ২০০৯ অবধি, রবি কাপুর দলবেধে অসংখ্য অপরাধ করেছে। এদের রোজগার, বেচেঁ থাকার উপায়ই ছিল অপরাধ করা।

অজয় শেঠী পেল তিন বছরের সাজা। এই অপরাধীর কাছ থেকে খুনে ব্যবহৃত গাড়িটি উদ্ধার হয়েছিল।

এর পর, তথ্য হিসেবে শুধু আর একটি খবর জুড়ে দিতে পারি।
সৌম্যর বাবা, ৮২ বছর বয়সি M K Vishwanathan, রায় বের হবার ঠিক দু সপ্তাহ পরে মারা গেছেন। তাঁর মেয়ে বেঁচে থাকলে যেদিন ৪১ বছরের হতো, তার ঠিক পরের দিন।

অলংকরণ-রাতুল চন্দরায়