ভগীরথ মিশ্র
তখন ফাইভ কি সিক্সে পড়ি। অজ গাঁয়ের মধ্যে জুনিয়র স্কুল। হোস্টেলে থাকি। পাশের গ্রামেই সেজদির শ্বশুরবাড়ি। মাঝে মাঝেই চলে যাই সেখানে।
স্কুলে তখন একটা সাপ্তাহিক উৎসব হতো। কেবল আমাদের স্কুলেই নয়, গ্রামাঞ্চলের প্রায় সব স্কুলেই উৎসবটা হতো। এখন যেমন ফি-শনিবার পাড়ায় পাড়ায় শনিপুজো হয়, ওই সময় স্কুলে স্কুলে হত ফি-শনিবার, আর এক জাতের উৎসব। শনিবার চার পিরিয়ডে ছুটি। ছুটির পর স্কুল-লাইব্রেরি থেকে প্রত্যেক ছাত্রকে গল্পের বই বিলি করা হত। আমাদের কাছে সেটা ছিল এক মহা-উৎসব। সারা হপ্তা ওই দিনটার জন্য মুখিয়ে থাকতাম।
স্কুলের লম্বা বারান্দায় চারটি ক্লাসের ছেলেদের জন্য তৈরি হতো গল্পের বইয়ের চারটি পৃথক স্তূপ। ক্লাস অনুসারে বইগুলোকে নির্বাচন করতেন মাস্টারমশাইয়েরা। আমরা ক্লাস ধরে ধরে লাইনে দাঁড়াতাম। নিজের সময়টি এলে, ওই মুহূর্তে স্যারের হাতের কাছে যে-বইটি থাকত, ওটাই জুটত আমার ভাগ্যে। বাছাবাছির বালাই ছিল না। আগের হপ্তায় সুধীর পেয়েছিল ‘আবার যখের ধন’, মুকুন্দ পেয়েছিল ‘দেড়শো খোকার কাণ্ড’। মলাট দেখেই লোভ হচ্ছিল, কিন্তু বই দু’টোর কোনওটাই আমার কপালে জোটেনি। এই শনিবার তাই সকাল থেকেই মা-সরস্বতীর কাছে আকুল প্রার্থনা জানিয়েছি, যেন ওই দু’টো বইয়ের মধ্যে একটা পাই।
রোববার ছুটি থাকত। ওইদিনই বইটা পড়া হয়ে যেত। তারপর… পরের শনিবার অবধি চলত দীর্ঘ প্রতীক্ষা। সোমবার থেকে শুক্করবার অবধি অবশ্য প্রাণপণ চেষ্টা করে যেতাম, অন্যদের পাওয়া বইগুলো যদি চেয়েচিন্তে পড়ে নিতে পারি। কেউ দিত, কেউ বা নিজের সৌভাগ্যকে অন্যের সঙ্গে ভাগ করতে চাইত না।
কিন্তু নেসেসিটি ইজ দ্য মাদার অব ইনভেনশন। সেই অভাবের তাড়নাতেই মাথা খাটিয়ে একটা ফন্দি বের করেছিলাম। রাজকুমার ছিল ইংরেজিতে দিগগজ। হরিপদ ছিল অঙ্কে। ফি-ইংরেজি-অঙ্কের ক্লাসেই মার খেত ওরা। আমি ছিলাম ওই দু’টো বিষয়ে ভাল। দু’জনেই হোস্টেলে থাকত। প্রহারের থেকে রেহাই পেতে হোমটাস্কগুলো অনেক সময় আমার খাতা থেকেই টুকে নিত। আমি সেই সুযোগটা পুরোমাত্রায় নিতাম। আমার খাতা থেকে হোমটাস্কগুলো টুকতে দিতাম একটাই শর্তে। তার বদলে আমাকে একবেলার জন্যে পড়তে দিতে হবে ওদের পাওয়া বইগুলো। ফ্যাল বই, নাও খাতা, তুমি কি আমার পর? রাজকুমার, হরিপদ বাদেও আরও দু’একজন ছিল ওই দলে। তারাও আমায় বইগুলো পড়তে দিত ওই একই শর্তে। ফলে, হপ্তার প্রায় সব ক’টা দিনই আমি পেয়ে যেতাম কাঙ্ক্ষিত খাদ্য।
সেজদির শ্বশুরবাড়ির গ্রামে একটা পাঠাগার ছিল। অনন্ত স্মৃতি পাঠাগার। ওই সময়ের নিরিখে বেশ সমৃদ্ধ ছিল পাঠাগারটি। গাঁয়ের কিছু অল্পশিক্ষিত বয়স্ক মানুষ এবং অধিকাংশ অল্পশিক্ষিতা বউ-ঝিই ছিল ওই পাঠাগারের সদস্য-সদস্যা। পাঠাগার থেকে নিজের পছন্দের বইটি নিয়মিত ভাবে নিত ওরা। তারপর… সকাল থেকে দুপুর অবধি রান্নাবান্না, গেরস্থালির কাজকর্ম সেরেটেরে, পড়ন্ত বিকেলে দাওয়ায় মাদুর পেতে শুয়ে শুয়ে সারা বিকেল পড়ত ওইসব বই। এসব আমার নিজের চোখে দেখা।
সেজদির শাশুড়ি তখন পঞ্চাশোর্ধ্ব। প্রাইমারি অবধি বিদ্যে। কিন্তু তিনিও ছিলেন ওই পাঠাগারটির নিয়মিত সদস্যা। নিয়মিত গোগ্রাসে বই পড়তেন মহিলা। সেজদির শ্বশুরবাড়িতে হপ্তায় অন্তত একটিবার যেতাম আমি। তখনই আমাকে একটা কাজ করতেই হতো। মাসিমার পড়ে ফেলা বইটি পাঠাগারে ফেরৎ দিয়ে আসতে হতো। তার বদলে এনে দিতে হতো ওঁর ফরমায়েশমতো নতুন বই। ওই বইগুলি ছিল মূলত বঙ্কিমচন্দ্র, শরৎচন্দ্র, প্রভাবতী দেবী সরস্বতী কিংবা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের গল্প-উপন্যাস। ক্লাস এইট অবধি আমি ওই স্কুলে পড়েছি। ওই চারটি বছর মাসিমাকে নিয়মিত বই এনে দেওয়াটা ছিল আমার অবশ্যকরণীয় কর্ম।
আমাদের গ্রামটি আকারে বিশাল। কী কারণে যেন গ্রামের দু’টি অংশের মানুষের মধ্যে ছিল এক ধরনের রেষারেষির সম্পর্ক। গ্রামের একটি অংশের যুবকরা একদিন বানিয়ে ফেলল একটা ক্লাব। তরুণ সংঘ। মূলত ফুটবল ম্যাচ, যাত্রাপালার আদলে নাটক মঞ্চস্থ করা,-এইসব ছিল তাদের প্রধান কর্মসূচি। ওই নিয়ে বছরটাক খুব জ্বলল গ্রামের অপর অংশটি। একদিন তারাও এর যোগ্য জবাব দিল একটি পাঠাগার তৈরি করে। গ্রামের ওই অংশের একজন সম্পন্ন মানুষ তাঁর বাড়ির সদর-এলাকার একটি কুঠুরি ঘর ওই উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিলেন। কয়েকজন যুবক দিনরাত চাঁদা তুলে ওই পয়সায় কিনে আনল কিছু গল্প-উপন্যাস-নাটকের বই। ওই পাড়াগুলোর সব পরিবারের কিছু পুরুষ সদস্য ও অধিকাংশ অল্পশিক্ষিতা মেয়েরা রাতারাতি হয়ে গেলেন ওই পাঠাগারের সদস্যা। রমরমিয়ে চলতে লাগল পাঠাগার। দিনদিন বই ও সদস্য-সংখ্যায় তার কলেবর বাড়তে লাগল।
নব্বুইয়ের দশকে খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম, আমাদের গ্রামের সেই পাঠাগারটি বহুকাল বন্ধ। বইগুলো পাঠাগারের মধ্যে পোকায় কাটছে। বছর দশেক আগে জেনেছিলাম, বইগুলো স্থানান্তরিত হয়েছে পার্শ্ববর্তী একটি মুদির দোকানে। দোকানের এককোণে বান্ডিল বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওগুলো। কয়েক পলেস্তারা ধুলো জমেছে ওদের শরীরে। সর্বশেষ, বছর তিনেক আগে জেনেছি, বইগুলো ওই দোকানে আর নেই। কোথায় যে রয়েছে, কেউই ঠিকঠাক বলতে পারল না তা।
কয়েক দশক আগে খোঁজ নিয়ে জেনেছিলাম, সেজদির গ্রামের ওই রমরমিয়ে চলা পাঠাগারটির আর কোনও অস্তিত্বই নেই। এমনকি, ‘অনন্ত স্মৃতি’ নামক ওই পাঠাগারটির স্মৃতি অবধি হারিয়ে গিয়েছে পরের প্রজন্মের কাছে। গ্রামাঞ্চলের অনেক স্কুলেই খোঁজ নিয়ে দেখেছি, বই বিতরণের সেই সাপ্তাহিক উৎসবটি বহুকাল আর হয় না। তার মূল কারণ, ছাত্রদের গল্প-উপন্যাস নেবার ব্যাপারে এবং শিক্ষকদেরও বই বিতরণের খাতে ওইটুকু সময় ব্যয় করবার ব্যাপারে তীব্র অনীহা।
গ্রামীণ পাঠাগারগুলোর অনেক গ্রন্থাগারিকের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় রয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে যে গড়পড়তা ছবিটি পেয়েছি, তা হল, পাঠাগার থেকে গল্প-উপন্যাস নিয়ে পড়বার প্রবণতা একেবারেই কমে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও গ্রামীণ পাঠাগারগুলো যে এখনও অবধি ঢিকিয়ে ঢিকিয়ে চলছে, তার মূল কারণটি হল, গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি হরেক পত্রপত্রিকা, স্কুল-কলেজপাঠ্য টেক্সটবুক এবং কমপেটিটিভ পরীক্ষার জন্য রচিত পুস্তকাদি। সরকারি উদ্দ্যোগে এখন প্রায় সমস্ত পাঠাগারেই ওই বিভাগটি চালু হয়েছে। ওই বিভাগটাই মূলত পাঠাগারগুলোকে কোনও গতিকে সচল রেখেছে।
মফস্বলের একজন গ্রন্থাগারিককে চিনি। তিনি চিরকালই মানুষকে বই পড়ানোর ব্যাপারে, বলা যায়, লড়াই করে চলেছেন। তাঁর কাছেই প্রশ্নটা রেখেছিলাম— বলুন দেখি, বাঙালির বই পড়ার অভ্যেসটা কি সত্যি সত্যি তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে?
তিনি খুব দ্বিধাহীন ভাষায় বলেছিলেন, দেখুন, এককালে মফস্বলের যে বিশাল সংখ্যক অল্পশিক্ষিত পুরুষ ও মহিলা (মহিলাই বেশি ছিলেন) নিজ-নিজ এলাকার পাঠাগারগুলোকে সচল রাখতেন, তাঁরা এখন প্রায় পাইকারি হারে চলে গিয়েছেন বিনোদনের অপর শাখায়। দূরদর্শনের অন্তহীন ধারাবাহিকের ফাঁদে পড়ে গিয়েছেন তাঁরা। সকাল-দুপুরটা গেরস্থালির হরেক কাজেকর্মে কোনওগতিকে কাটিয়ে দেন, কিন্তু বিকেল হলেই প্রায় সপরিবারে বসে যান ওই বোকা বাক্সটির সামনে। ইদানীং একটা সিরিয়াল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অপর সিরিয়ালটি যেভাবে তৎক্ষণাৎ শুরু হয়ে যায়, নবীশরা ভাবতেই পারেন, আগেরটাই চলছে বুঝি। কিছুক্ষণ বাদে অবশ্য তাঁদের ভুল ভাঙে। অবস্থা এমনই, বিকেলের পর কোনও বন্ধু বা আত্মীয় এলে-টেলে তাঁরা যারপরনাই বিরক্ত বোধ করেন, এবং কত জলদি তাঁদের বিদেয় করে দেওয়া যায়, সেই ফন্দিই আঁটতে থাকেন। এমনকি, একটু চোখ চারালেই দেখা যাবে, মফস্বলের শহর-গঞ্জগুলোতে সন্ধে নাগাদ রাস্তার ধারে অস্থায়ী রুটি তৈরির দোকানগুলো ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে। খোঁজ নিয়ে দেখেছি, অনেক বাড়িতেই এখন গৃহিনীরা সন্ধ্যায় রুটি তৈরির ঝামেলাটা রাখতে চান না। রুটি বানাতে গেলে নাকি, গুটিকয় সিরিয়াল বাদ পড়ে যায়। বাড়ির পুরুষেরা বাড়ি ফিরবার সময় প্রয়োজনীয় রুটি ওইসব দোকান থেকেই কিনে নিয়ে যান।
স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে, স্কুল কিংবা কলেজ পাঠাগার থেকে বই নেওয়া তো দূরের কথা,পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কোনও সাহিত্যের বই পড়ায় তাদের আগ্রহ নেই বললেই চলে। সারাক্ষণ কানে একটা যন্ত্র লাগিয়ে একেবারে বুঁদ হয়ে রয়েছে ওরা। এরপর রয়েছে ইংলিশ মিডিয়ম স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। তাদের বারোআনাই তো বাংলা ভাষায় সাহিত্য পাঠ থেকে শতহস্তেন থাকে। সব মিলিয়ে বাংলা-সাহিত্যের পাঠক-ব্যাঙ্কে বলা যায় একেবারে ধ্বস নেমেছে।
ওইসঙ্গে এটাও বলব, যাঁরা কেবল তরল, বাণিজ্যিক সাহিত্যগুলি পাঠ করেছেন এতকাল, তাঁদের একটা বড় অংশ অবশ্যই দূরদর্শনের সিরিয়াল অনুরাগী হয়ে সাহিত্যপাঠ থেকে দূরে চলে গিয়েছেন। কিন্তু সিরিয়াস পাঠকরা এখনও অবধি ওই ফাঁদে পড়েননি। তাঁরা সারাক্ষণ ওই চৌকোণো যন্ত্রটি কানে ঠেকিয়ে রাখেন না। ওই জাতের পাঠকও সংখ্যায় অবশ্যই কমেছেন, কিন্তু পাঠক সমাজের ওই অংশটিতে সেই পরিমাণ ধ্বস নামেনি। কাজেই, বলতে পারেন, সাহিত্যের পাঠক সংখ্যা কমে যাওয়ায় ওই জাতের সাহিত্যগুলি সেই পরিমাণ ক্ষতির মুখোমুখি হয়নি।
ওই নিবেদিতপ্রাণ গ্রন্থাগারিকের এমনতরো মূল্যায়ন সিরিয়াস সাহিত্যের লেখকদের অবশ্যই প্রেরণা জোগাবে। প্রসঙ্গত, কেবল গাঁ-গঞ্জ কেন, সম্প্রতি মহানগরীর বিভিন্ন স্তরের ১০০ জন মহিলার ওপর সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে স্নাতকোত্তর ছিলেন ৩৩ জন, স্নাতক ৪০ জন এবং উঃ মাধ্যমিক ও তার সমতুল ২৭ জন। পেশাগত ভাবে, তাঁদের মধ্যে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা ছিলেন ১৮ জন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ১২ জন, স্কুলের শিক্ষিকা ৯ জন, গৃহবধূ ৫২ জন এবং বাকিরা অন্য পেশাভুক্ত। দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে ৪২ জনেরই প্রথম পছন্দ সিরিয়াল, ৩২ জনের সিনেমা এবং ২৬ জনের গল্পের বই পড়া।
একজন লেখক কিংবা প্রকাশক, কিংবা বইপ্রেমীর কাছে চিত্রটি অবশ্যই বেদনাদায়ক। কিন্তু-তা সত্ত্বেও থেকে যায় কবি-রচিত ওই কোটি টাকা মূল্যের পংক্তিটি: মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে।
সেই সূর্যটা সত্যি সত্যি হাসছে কি? নাকি পুরোটাই কবির আবেগের ফেনামাত্র?
হাসছে বৈকি। ঘন কালো মেঘের আড়ালে ওই সূর্যটা অবশ্যই হাসছে। কারণ, এতদসত্ত্বেও, কেবল কলকাতায় নয়, কেবল জেলা ও মহকুমা শহরগুলিতে নয়, ফি-বছর জমজমাট করে বইমেলা হচ্ছে পলতায়, নৈহাটিতে, পায়রাডাঙায়, ঠাকুরপুকুরে, ঝাড়গ্রামে, সাগরদ্বীপে, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে, বলরামপুরে, উত্তরবঙ্গের শীতলকুচিতে, রাইপুরে, শিমলাপালে, বেলদায়, নবগ্রামে, এগরায়….।
ফি-বছর এত এত বইমেলা হচ্ছে যখন, বিক্রিবাটা কিছু হচ্ছে নিশ্চয়ই। একেবারে নগণ্য বিক্রি হলে কলকাতা থেকে এত-এত প্রকাশক ফি-বছর যেতেন ওইসব মেলাতে? একেবারে বসে বসে মাছি তাড়াতে বছরের পর বছর যায় কেউ।
তার মানে মেঘের আড়ালে সূর্যটা রয়েছে। কেবল রয়েছেই নয়, সূর্যটা অল্পস্বল্প হাসছেও।
পরিশেষে বলতে চাই, আজ যখন গোটা দেশ জুড়ে হরেক কিসিমের অস্থিরতা, যখন আসল ভারতীয় সংস্কৃতিকে ভুলিয়ে দিয়ে ওই জায়গায় আমদানি করা হচ্ছে নানা রকমের বিকৃত ‘সংস্কৃতি’, যখন এই বাংলাতেও ঢুকে পড়েছে সেই বিকৃতির জোয়ার, এমন মুহূর্তে, প্রতিরোধকল্পে যেসব ব্যবস্থা অবিলম্বে নেওয়া উচিত, তার মধ্যে, আমার মতে, অবশ্যই বইমেলা অন্যতম।
আরও বেশি বেশি বইমেলা হোক। গ্রামেগঞ্জে, মফস্বলের সর্বত্র। কাকদ্বীপ-পাথরপ্রতিমা থেকে আলিপুরদুয়ার, বলরামপুর থেকে হিঙ্গলগঞ্জ, সর্বত্র বইমেলাভিত্তিক সংস্কৃতিচচইি হয়ে উঠুক যাবতীয় বিকৃত ‘সংস্কৃতি’র বিরুদ্ধে নয়া হাতিয়ার।
অলংকরণ-রাতুল চন্দরায়